ঢাকা : হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুই আবার ফিরে পাই আমরা। কখনো হারানো বস্তুটি কেউ পেয়ে সেটা ফিরিয়ে দেন, আবার কখনো মনের ভুলে হারানো জিনিসগুলোর কথা হুট করে মনে পড়লে সেটি উদ্ধার করি আমরা। কিন্তু সম্প্রতি হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা গল্পকেও হার মানাবে।
প্রায় দুই বছর আগে তাইওয়ানের উপকূল থেকে সাগরের ২৫০ কিলোমিটার ভেতরে নিজের প্রিয় ক্যামেরাটি হারিয়ে ফেলেন জাপানি ফটোগ্রাফার সেরিনা সুবাকিহারা। এরপর তিনি এর আশা ছেড়েই দেন।
কিন্তু সম্প্রতি তাইওয়ানের কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া সমুদ্রসৈকতে কুড়িয়ে পায় ক্যামেরাটি। জিনিসটি কী সেটা বুঝতে না পেরে প্রথমে তারা অবাক হয়। কিন্তু অসংখ্য শামুক আর ঝিনুকে আঁকড়ে রাখা যন্ত্রটি যখন ভালো করে খেয়াল করে তখনই তারা আবিষ্কার করে এটি একটি ক্যামেরা। পরে সেটি পরিষ্কার করে তারা দেখতে পায় সেটি বহাল তবিয়তেই আছে। আগের মতোই ছবি তোলা যাচ্ছে সেটি দিয়ে।
এরপরই তারা পরিকল্পনা করে জিনিসটির আসল মালিককে সেটা ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু জিনিসটি কার, কোথা থেকে এসেছে- কিছুই জানা নেই তাদের। অবশেষে তারা বুদ্ধি করে ফেসবুকে ক্যামেরাটি পাওয়ার কথা জানিয়ে এর আসল মালিকের সন্ধান চেয়ে একটি পোস্ট দেয়।
পরে পোস্টটি নজরে আসে সেরিনা সুবাকিহারার। তিনি ক্যামেরাটি ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি আশ্চর্য রকমের অবাক হয়েছি। প্রথমে আমার এক বন্ধু ক্যামেরা ও ফেসবুক পোস্টটি নিয়ে বলেন।
সেরিনা সুবাকিহারা বলেন, আরো দুই বছর আগে আমরা ছুটি কাটাতে ওকিনাওয়ার ইশিগাকি দ্বীপে যাই। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় দিনেই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে হঠাৎ আমর এক বন্ধু অক্সিজেন সঙ্কটে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে গিয়ে অতল সাগরে ডুবে যায় আমার প্রিয় ক্যামেরাটি।
তারপর সেরিনা সুবাকিহারা ধরেই নিয়েছিলেন তার ক্যামেরাটি সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু শত মাইল ভ্রমণ করে অনেকটা ভাগ্যের গুণেই সৈকত পরিষ্কারের অভিযানে নামা একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থী হাতে পড়ল সেটি। আর ফেসবুকের মতো প্রযুক্তির কল্যাণে সেটি ফিরল আবার তার মালিকের হাতে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :