• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একনেক সভায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২২, ২০১৬, ০৩:২০ পিএম
একনেক সভায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় বিদ্যুতের তিনটি প্রকল্পসহ ২২ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৬৬৮ কোটি ১৮ লাখ, বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ৫৮৫ কোটি ২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৩ হাজার ৬২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এখন বিদ্যুতের অনেক অপচয় হয় এবং সিস্টেম লস বেশি হয়। এখন তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমে যাবে।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এলাকায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ রয়েছে সেসব এলাকায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে এবং দুই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দূর করতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে স্টিলের দাম কমে যাওয়ায় যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ লাইন তৈরি করা দরকার সেসব এলাকায় দ্রুততার সাথে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, পাওয়ার গ্রিড নেটওর্য়াক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বিতরণব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

গ্যাস ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটি এক্সপাশন-আশুগঞ্জ টু বাখরাবাদ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মুরাদপুর ২ নং গেইট ও জিইসি জংশন ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মপুরে ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু হতে পাঁচদোনা পর্যন্ত অংশ জাতীয় মহসড়ক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এর মধ্যে জিওবি খাত থেকে ৮ হাজার ৬৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫৮৫ কোটি ২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ১৩ হাজার ৬২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!