• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই


চাঁদপুর প্রতিনিধি জুন ১৮, ২০১৭, ০৫:৫৫ পিএম
একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই

চাঁদপুর: আমাকে মাটিতে উপুড় করে শুইয়ে মারধর করা হয়। একজন পুলিশ আমার পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, আর ওসি আমার পাছায় লাঠি দিয়ে মারছিল। মারতে মারতে লাঠি ভেঙে গেলে হকিস্টিক দিয়ে মেরেছে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই।

কথাগুলো বলছিলেন, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাদাত হাওলাদার। চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে চাঁদপুর শহর থেকে বাসায় ফেরার পথে গুয়াখোলা ক্রীড়া চক্রের সামনে থেকে সাহাদাতকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর শনিবার তাকে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, তাকে পুলিশ সুপারের কথা বলে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশ সুপারকে তিনি সেখানে দেখেননি। পরে ডিবির ওসি মোস্তফা কামাল নিজে এসে তাকে মারধর শুরু করেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, সাহাদাতের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দিয়া এলাকায়। ওই এলাকার মজিবর শেখ চাঁদাবাজির অভিযোগে সাহাদতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সাহাদাতের স্ত্রী আসমা নূর গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ মানুষের ওপর এমন নির্যাতন চালাতে পারে ভাবা যায় না। আমরা দোষী পুলিশের শাস্তি চাই।

চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, ওসি মোস্তফা যে অত্যাচার করেছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে যা যা করা দরকার তা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ করবে।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, তাকে নির্যাতন করা হয়নি। দাগ হয়ত অন্য কোনোভাবে হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!