একান্ত বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করছেন। সেখানেই দুই দেশের মধ্যে ত্রিশটির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করার কথা আছে।

এর আগে সকালে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান। এর পর বেলা ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজারহাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। 

প্রধান প্রধান চুক্তি ও সমঝোতা:
প্রতিরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, পরমাণু বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ঋণ সহযোগিতা, বর্ডার হাট স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তি ও এমওইউ। তবে এর মধ্যে তিস্তা চুক্তি যে হচ্ছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে।

তিস্তার অচলাবস্থা কাটানোর বিষয় সেখানে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ‘আশাবাদী’। দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে ইতোমধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে তিস্তা নিয়ে কথা হবে বলে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মমতার আপত্তির কারণেই ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা চুক্তি আটকে যায়। ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরেও তার সুরাহা হয়নি।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই