• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একে অন্যের প্রশংসায় মাতোয়ারা চীন ও ভারত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৭, ২০১৭, ১১:২৩ পিএম
একে অন্যের প্রশংসায় মাতোয়ারা চীন ও ভারত

ঢাকা: প্রতিবেশি দুই শক্তিধর দেশ চীন ও ভারত। দুটি দেশই পরমাণু শক্তিধর হলেও চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র। সামরিক শক্তিতে শক্তিশালী হলেও চীনের কাছে অর্থনীতিতে নিতান্তই নগন্য ভারত। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধে ভারতকে মূল্য দিতে হয়েছে। এখন আবারি এক সময়ের স্বাধীন সিকিম সীমান্তে ভারত ও চীনের সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে গত তিন সপ্তাহ হলো। দুই দেশই সাজোয়া যানের মহড়ায় ব্যস্ত। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকও বাতিল হয়েছে এ বিষয় নিয়ে। এতো কিছুর পরও চীন ও ভারত একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে।

বিষয়টা এমন..দ্বিপাক্ষিক সমস্যা কেনো বিশ্ব দরবারে উঠবে। আসলেও তাই..নিজের মান নিজেরাই রাখতে স্থির হলেন। আঞ্চলিক সমস্যারি প্রতি বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি যাতে না যায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শুক্রবার(৭ জুলাই) জার্মানিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে বৈঠকে মিলিত হন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হামবুর্গে উদ্বোধন হওয়া ব্রিকস সম্মেলনের আজ ছিল প্রথম দিন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিল এই গোষ্ঠীর অন্যতম দুই সদস্য দেশ—ভারত ও চীন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে টুইটারে জানান, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে। 

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিকস-এর পার্শ্ববৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনের ‘প্রশংসা’ করেন মোদী। বর্তমানে ব্রিকস-ব্লকের সভাপতিত্বে রয়েছে চিনের। এদিন মোদী জানান, চিনের নেতৃত্বে ব্রিকস গতি পেয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে চিনের শিয়ামেনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ব্রিকস-এর পরবর্তী সম্মেলন। সেখানে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পরই বলতে উঠে শি জিনপিংও ভারতের প্রশংসা করে জানান, ভারতের নেতৃত্বে ব্রিকস যে গতি পেয়েছে, তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চীন।

ভারত-ভুটান-চিন সীমান্ত লাগোয়া একটি ছোট্ট দোকালামের আধিপত্য নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে গত তিন সপ্তাহ ধরে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চীন বলছে অভিযোগ, নিজেদের জমিতে তাদের সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে নয়াদিল্লিকে বলেছে চীন। যদিও, সেই দাবি খারিজ করে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, দোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।

এই সংঘাতময় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই চীনের পক্ষ থেকে বৈঠক বাতিল করা হয়। দুই দেশের জনগণ আশা করছিল শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে আলোচনা হলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। কিন্তু বৈঠক বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে এসবের মাঝেও সুখবর হলো নিজ দেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে করমর্দন করে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। করলেন একে অপরের প্রশংসা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!