এনআরবি ব্যাংকের এজিএম করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ঢাকা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠান এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  আগামী ২৩ এপ্রিল এই এজিএম অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত বলেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ফরাছত আলীই এই এজিএমএ চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এজিএমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক মাসুদ বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এজিএমে আদনান ইমাম, এস এম তমাল পারভেজ ও রফিকুল ইসলাম আরজু ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতেও পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বার্ষিক রিপোর্টে ওই তিনজনের নাম পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে তাদের নাম ব্যাংকটির ওয়েব পেজে অন্তর্ভূক্ত করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানের অবকাশকালীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম মনিরুজ্জামান। পরে এস এম মনিরুজ্জামান আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। একইসঙ্গে গোপন ব্যালটে এজিএমএ ভোট গ্রহণ এবং কোন বহিরাগত বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল ব্যাংকটির বার্ষিক রিপোর্টে নাম না থাকায় ও এজিএমে অংশগ্রহণের জন্য কোন চিঠি না পাওয়ায় আদনান ইমামসহ ব্যাংকের তিন পরিচালক হাইকোর্টে আবেদন করেন। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যানের অধীনে অধীনে এজিএম না করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

গত ১২ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরাছত আলী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেওয়ান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের কার্যকারিতা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরাছত আলী ও এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নোটিশের জবাব দিতে হবে।

আমানতকারীর স্বার্থ ও জনস্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ এবং ব্যাংকটি পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ফরাছত আলী ও দেওয়ান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নোটিশ দেন। নোটিশে আরও বলা হয়, ব্যাংক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, বিধিবহির্ভূতভাবে ৭৪১ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী এ নোটিশ দেওয়া হয়। ফরাছত আলীর বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না ও দেওয়ান মুজিবর রহমানকে কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে। নোটিশের জবাব ১০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন