• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সংস্কারের দাবি

এফবিসিসিআইয়ে সরাসরি নির্বাচন চান ব্যবসায়ীরা


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৫, ২০১৭, ১১:৫০ এএম
এফবিসিসিআইয়ে সরাসরি নির্বাচন চান ব্যবসায়ীরা

ঢাকা : ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সরাসরি নির্বাচন চান সারাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের দাবি- সভাপতিসহ সব পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন দিতে হবে। এজন্য সংস্কার করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এফবিসিসিআই রিফমর্স বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেয়া ব্যবসায়ী নেতারা এসব দাবির কথা জানান। এফবিসিসিআই পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পরিচালক আবু নাসেরের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতিরা বক্তব্য দেন। গতকাল সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই আলোচনা সভা চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। তাতে ব্যবসায়ী নেতারা একে-অন্যের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। 

আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহসভাপতিদের মধ্যে জসিম উদ্দিন বলেন, সবাই চান এফবিসিসিআইতে সরাসরি নির্বাচন হোক। এখানে সঠিক নেতৃত্ব দরকার। এজন্য সংস্কার করতেই হবে। সাবেক নেতা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল করে সরাসরি নির্বাচন করতে ২০০২ সালে জারি করা এসআরওটি সরকার বাতিল করলেই যথেষ্ট। মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে সংস্কার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগুলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তা বাস্তবায়িত হয় না।

এফবিসিসিআইর প্রথম সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, মনোনীত পরিচালক প্রথার অপব্যবহার হয়েছে। সরাসরি ভোটে নির্বাচন না হলে তা বয়কট করতে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বয়কট ও বর্জনে কী হয়, তা আপনারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখেছেন। এ সময় আবুল আলম চৌধুরী বলেন, এবার সভাপতি পদে জসিম উদ্দিন ও সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এই দুজন প্রার্থী আছেন। তারা বসে ঠিক করলেই সঙ্কটের সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- বিসিআই পরিচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, এফবিসিসিআইতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝ থেকে উঠে আসা নেতা চাই। মানিকগঞ্জ চেম্বারের মোসাদ্দেক তবারুকুল টিটু বলেন, নির্বাচনের সময় হুমকি-ধমকি আসে। তখন ভয়ে ফোন বন্ধ রেখে ঢাকার বাইরে অবস্থান করি।

বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- বিডব্লিউসিসিআই সভাপতি সেলিমা আহমাদ ব্যবসায়ীদের এই আলোচনা সভায় বহিরাগতদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, বাইরে থেকে এখানে লোক আনা হয়েছে, হাততালি দিতে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে। ২০০৩ সাল থেকে যত সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি ও সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সবাই সরাসরি নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ সময় এফবিসিসিআইর পরিচালকদের মধ্যে শোয়েব চৌধুরী বলেন, সিন্ডিকেটমুক্ত এফবিসিসিআই চাই আমরা।

শেখ ফজলে ফাহিম আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, সরাসরি ভোটের কোনো বিকল্প নেই। তবে পরিচালনা পর্ষদের বাইরে এসে সবাই সস্তা দাবি তুলে সংস্কার চান। এখানে ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানিয়েছেন। আপনারা কার অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যানারে ছেপেছেন। এই নাম ব্যবহার করবেন না। ঢাকা চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি সেকিল চৌধুরী বলেন, এফবিসিসিআইতে স্বচ্ছতা চাই। সরাসরি নির্বাচন চাই। রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় রইলাম। তিনি সরাসরি নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। নাটোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, সংস্কার না হলে নির্বাচন বয়কট করুন। 

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে হাজী হাফেজ হারুন বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙানো হচ্ছে। যতদূর জানি, প্রধানমন্ত্রী কাউকে সিগন্যাল দেননি। আরেক নেতা হাজী আবু বকর বলেন, সরাসরি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে পরিচালকরা বোর্ড থেকে পদত্যাগ করুন। আর আমাদের ধোঁকা দেবেন না।

আরো বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, আবুল কাশেম আহমেদ, মনোয়ারা হাকিম আলী, সাবেক সহসভাপতি কাজী শফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই পরিচালক আবু মোতালেব, ব্যবসায়ী নেতা ও শরিয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোকা শিকদার, ইনডেন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ, এসএমই ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী জামান প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!