• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এবাদতে মুগ্ধ আকিব জাভেদ


ক্রীড়া প্রতিবেদক আগস্ট ৫, ২০১৬, ০৫:৪৪ পিএম
এবাদতে মুগ্ধ আকিব জাভেদ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচীর আওতায় পেসার হান্ট থেকেই উঠে এসেছেন রুবেল হোসেন ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। রুবেল ও রাব্বিদের দেখানো পথেই হাঁটতে চাইছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত এবাদত হোসেন।

রবির এবারের ‘ফাস্ট বোলার হান্ট’কর্মসূচির সর্বোচ্চ গতির বোলার হয়েছেন মৌলভীবাজারের ডানহাতি এ পেসার। বর্তমানে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটির (এইচপি) ক্যাম্পে আছেন এবাদত। আর এই ক্যাম্পে তাকে দেখে দারুণ মুগ্ধ পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও কোচ আকিব জাভেদ। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেললেও বিমান বাহিনী ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন এবাদত।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এবাদত বলেন, ‘বিমানবাহিনীতে  আমার যে অফিসার ছিলেন তিনি আমাকে বলেছেন তুমি যত বড় খেলোয়াড়ই হও না কেন তুমি বিমানবাহিনীকে সবসময় স্মরণ করবে। আর আমাকে এটা অবশ্যই করতে হবে। কারণ তাদের কারণেই এখানে আসতে পেরেছি। তারা সুযোগ না দিলে এখানে আসতে পারতাম না। জাতীয় দলে খেললেও বিমানবাহিনী ছাড়ার চিন্তা করবো না।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেললেও তাকে বিমানবাহিনী ছাড়বে না বলে জানান এবাদত। ডানহাতি পেসারের মতে, এটা বিমানবাহিনীর জন্য এক প্রকার বিজ্ঞাপনের মতো হবে। গত কয়েকদিনের ক্যাম্পের পর এবাদত বুঝতে পেরেছেন ক্রিকেটে বড় কিছু করতে হলে নিয়মিত ক্রিকেটের মধ্যেই থাকতে হবে।

তবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তাকে সবরকম সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করেন এবাদত, ‘আসলে এখানে আসার পর আট সপ্তাহ, নয় সপ্তাহ অনুশীলনে বুঝতে পারলাম সবসময় ক্রিকেটের টাচে থাকতে হবে। আমি বিমানবাহিনীতে চাকুরি করি, তারা শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিল, যখনই ছুটির দরকার ছিল, বা বিসিবি ডাকছে বা কোনো ক্লাব লেভেলে খেলতে গেছি তারা আমাকে সাহায্য করেছে। আমার মনে হয় আগামীতেও আমাকে সাহায্য করবে। আর এখানে থেকে আমি একটি চিঠি নিয়ে যাব, যাতে আমি নিয়মিত এখানে আসতে পারি, জিম করতে পারি বা ট্রেনারদের সঙ্গে কথা বলতে পারি ও ফিটনেস নিয়ে আগামীতে যেন অনেক কাজ করতে পারি।’

নিজেকে অনেকটা সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন এবাদত। বিশেষ কওে এইচপি ক্যাম্পে এসে আকিব জাভেদের মতো বিশ্বসেরা পেসারের সান্নিধ্য পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই ডানহাতি পেসারের বোলিংয়ে রীতিমতো বিস্মিত আকিব। এমন শারীরিক কাঠামোতে এতো জোরে বল করতে পারায় আকিবের কাছ থেকে জিনিয়াস উপাধি পেয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এবাদত বলেন, ‘আকিব জাভেদ প্রথম যেদিন এসেছেন সেদিন তিনি আমাদের গতি, রানআপ নিয়ে কাজ করেছেন। কীভাবে বোলিংয়ের গতি বাড়াতে হয়। এরপর সুইং, ভেরিয়েশন এবং শেষ দিন রিভার্স সুইং নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আমার শারীরিক কাঠামো দেখে বুঝতে পারেননি যে আমি এতো জোরে বল করতে পারি। উনি আমাকে বলেছেন, তুমি তো আসলে জিনিয়াস, এতো জোরে বল করতে পারো এই শরীর নিয়ে। যদি মাসেল আরেকটু বিল্ডআপ হয় তাহলে আরো জোরে বল করতে পারবে।’

আসলে আকিব জাবেদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন জানিয়ে এবাদত বলেন, যে চারটা দিন কাজ করেছেন তার কাছ থেকে কে কী নিয়েছে জানি না, তবে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। কিভাবে রান আপ নিতে হয়, কিভাবে রিভার্স সুইং করাতে হয় সেসব জিনিস তিনি আমাকে শিখিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!