সাতক্ষীরা: আবারো বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। তাই ভোরের আলো ফোটার আগেই এমপি ছুটে গেলেন ভাঙনস্থলে। মাথায় গামছা, গায়ে লাল গেঞ্জি আর পরনে লুঙ্গি। লেগে পড়লেন কাজে। এমপিকে নিজেদের কাতারে পেয়ে খুশি আর ধরে না শ্রমিকদের। তারা মহাউৎসাহে কাজে লেগে পড়েছেন।
কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পর সকালের নাশতার সময় হয়। শ্রমিকদের সঙ্গে বসে পড়েন মাটিতেই। তাদের নিয়ে আসা পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ আর আম দিয়ে পান্তা খান এমপি। খানিক বিশ্রাম নিয়ে আবারো কাজে নেমে পড়েন শ্রমিকদের সঙ্গে।
দ্বিতীয়বারের মতো এ দৃশ্য চোখে পড়লো বঙ্গোপসাগরের কাছে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে আইলা বিধৌত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটি এলাকার বাঁধে। যেখানে গত ১৪ মে সকাল ১০টার দিকে আজকের মতোই বাঁধনির্মাণ শ্রমিক হিসেবে দেখা গিয়েছিল সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য (এমপি) এস এম জগলুল হায়দার এমপিকে।
আজ শনিবার (২৭ মে) যখন সেই বাঁধ ভাঙার খবর এমপির কানে গেল তখন তিনি আবারো ছুটে গেলেন সেখানে। একইভাবে কাজে নেমে পড়লেন।
এর আগে গত ২৪ মে দুপুরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলতি পথে এমপি জগলুল হায়দার লক্ষ্য করেন প্রচণ্ড দাবদাহে পিপাসার্ত ভ্যানচালকরা ঘেমে নেমে হাঁফফাঁস করছেন। এসময় এমপি তার গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যান তাদের দিকে। নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে তাদের পরম মমতায় ঘাম মুছে দেন। এরপর ডাবের পানি পান করিয়ে তাদের পিপাসা মেটান।
এমন পরিস্থিতিতে এমপিকে কাছে পেয়ে আর তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখে শত শত ভ্যানচালক আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে সিক্ত হয়ে পড়েন। পরে ফেসবুকে এমপি জগলুল হায়দারের এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
আর এ ঘটনার আগের দিনই ২৩ মে দুপুরের দিকে পথে যেতে যেতে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে দেখে গাড়ি থামিয়েছিলেন এমপি জগলুল। পরে তাকে নিজ হাতে খাওয়ান। সে ছবিটাও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সোনালীনিউজ/এন
আপনার মতামত লিখুন :