• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার খুতবায় রাজস্ব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৬, ২০১৭, ১১:১২ এএম
এবার খুতবায় রাজস্ব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ

ঢাকা : প্রত্যেক মসজিদে খুতবার সময় যাতে রাজস্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয় সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, নৈতিক দায়িত্ব থেকে ধর্মীয় নেতারা রাজস্ব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিলে অন্তত ১০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনা যাবে।

গত বুধবার সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে এক  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

আবদুল জলিল বলেন, প্রত্যেক ধর্ম রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সমর্থন করে। রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। এনবিআর রাজস্ব সচেতনতার বুকলেট দিলে ধর্মমন্ত্রণালয় সারাদেশে তা পৌঁছে দেবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, রাজস্ব প্রদানের বিষয়ে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যেসব প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে সেখানেও একইভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব ধর্মীয় নেতারা পরে জনগণকে রাজস্ব সম্পর্কে সচেতন করবেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য মূল চাবিকাঠি হল অর্থ। দেশের উন্নয়ন করতে হলে অর্থের যোগান দিয়ে এ ভিত শক্ত করতে হবে। সেজন্য তিনি দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে অনীহা প্রকাশ না করে আনন্দের সঙ্গে রাজস্ব দেয়ার অনুরোধ জানান। বিভিন্ন ধর্মীয় গুরু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে রাজস্ব প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। স্বতস্ফূর্তভাবে রাজস্ব আহরণ না হলে দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে না। এনবিআর-ধর্ম মন্ত্রণালয় পার্টনারশিপের মাধ্যমে রাজস্ব সচেতনতায় এনবিআরের যেসব বার্তা রয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআরের মতো ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাপ্তি সারাদেশ। রাষ্ট্রের সর্বত্র বিরাজমান রাজস্ব বোর্ড ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। এনবিআর-ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিটি ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করতে পারি। সারাদেশে ৩ লাখ মসজিদ, অসংখ্য মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা সব জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম রয়েছে। এসবের মাধ্যমে যাতে রাজস্ব বার্তা, শিক্ষা যথাযথভাবে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেজন্য এনবিআর কিছু প্রকাশনা তৈরি করছে। এসব ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!