• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা (ভিডিও)


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি আগস্ট ৩০, ২০১৮, ০৬:২৫ পিএম
এবার চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা (ভিডিও)

ছবি: সোনালীনিউজ

ময়মনসিংহ : জেলার গফরগাঁও উপজেলায় এবার চোর সন্দেহে রিয়াজ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে হাত ও পা বেঁধে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। নিহত রিয়াজ ঘাগড়া-উথুরী-ছিপান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে উথুরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাইদুর রহমান শাহীনের ছেলে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকালে উপজেলার উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের আশরাফুলের মনিহারী দোকানের ‘তালা ভাঙার চেষ্টার অপরাধে’ স্কুলছাত্র রিয়াজকে আটক করে একই বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল, তার ভাই কামরুল ও প্রতিবেশী রশিদ।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী উথুরী গ্রামের ইমন (১৮), মোতালেব (৪৮) জানায়, বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ও তার কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে রিয়াজকে বাজারের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটায়। কিন্তু কিশোর রিয়াজ চিৎকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও পাষণ্ডের দল পিটিয়ে রিয়াজের মৃত্যু নিশ্চিত করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনার পর থেকে আশরাফুলসহ বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান ঘর বন্ধ করে পলাতক রয়েছে।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট ময়মনসিংহ শহরতলীর শম্ভুগঞ্জ বাজার এলাকায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে শাওন (২২) নামে এক যুবককে দিনভর বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে শাওনের বড় ভাই আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে জানা গেছে, এ ঘটনার পর মামলার বাদিকে হাত করে আসামি পক্ষের লোকজন ধামাচাপা দিয়ে দেয়।

অন্যদিকে একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখোলা ইউনিয়নের চর শিরামপুর গ্রামের গাউছিয়া নামে একটি মৎস্য হ্যাচারিতে চোর সন্দেহে সাগর (১৬) নামে এক কিশোরকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখেন। পরদিন সকাল ১১টার দিকে একই হ্যাচারির কাশবন থেকে তার মরদের উদ্ধার করে গৌরীপুর থানা পুলিশ। পরে বাবা শিপন মিয়া বাদি হয়ে হ্যাচারির মালিক আক্কাস আলীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর গত ১২ আগস্ট ২০১৮ সালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দাস মামলাটি তদন্ত শে‌ষে প্রধান আসামী আক্কাছ আলী ও কাইয়ুমসহ মোট ৮ জন‌কে অভিযুক্ত ক‌রে বিজ্ঞ আদাল‌তে মামলার চার্জশিট দা‌খিল ক‌রেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!