• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার মাসুদা ভাট্টিকে ক্ষমা চাইতে বললেন মইনুল হোসেন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২২, ২০১৮, ০৩:৫২ পিএম
এবার মাসুদা ভাট্টিকে ক্ষমা চাইতে বললেন মইনুল হোসেন

ঢাকা: এবার ক্ষমা চাওয়ার জন্য দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনুর মাধ্যমে তিনি এ লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। মাসুদা ভাট্টি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশে বলা হয়, মাসুদা ভাট্টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এতে তার সম্মানহানি হয়েছে। এজন্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মাসুদা ভাট্টিকে।

এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে মইনুল হোসেনকে নিয়ে মন্তব্য করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে কেন অপরাধী করা হবে না তা জানতে চায়া হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশের এক কপি ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে পাঠানো হয়। নোটিশ প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির টকশোতে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, আপনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। আসলেই আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে উপস্থিত থাকেন কি না?’

এই প্রশ্নের জবাবে মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কোনো কানেকশন নেই। আপনার এ প্রশ্ন আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

পরেদিন আপত্তিকর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মাসুদা ভাট্টি তা প্রত্যাখান করে ব্যরিস্টার মঈনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন নারী সাংবাদিকরা।

এঘটনায় ফোন ও বিবৃতি প্রকাশ করে দুঃখ প্রকাশ করলেও রবিবার (২১ অক্টোবর) আদালতে মানহানির মামলা করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি। এছাড়াও একই অভিযোগে জামালপুর ও কুড়িগ্রামে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে ওইদিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই অন্যতম উদ্যোক্তাকে ৫ মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!