• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার মৃত স্ত্রী, সন্তান নিয়ে রাতভর জঙ্গলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ২৭, ২০১৬, ১২:০৬ পিএম
এবার মৃত স্ত্রী, সন্তান নিয়ে রাতভর জঙ্গলে

পাঁচ দিন আগে এক সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে থেকেই মল্লি বাই নামে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাসে করে তাকে দামোহ শহরে নিয়ে আসছিলেন স্বামী রাম সিংহ।

ওড়িশার কালাহান্ডিতে শবদেহবাহী গাড়ি না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে করে হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন দানা মাঝি। এরপরেই বালাশোরে মৃতদেহের হাড় ভেঙে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি সামনে আসে। বৃহস্পতিবার ওড়িশায় দুই অমানবিক ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের অমানবিকতার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের দামোহ।

চলন্ত বাসের মধ্যে সদ্য মা হওয়া এক মহিলার মৃত্যুর পরে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের মধ্যে জোর করে মৃতদেহসহ নারীর স্বামী এবং পাঁচ দিনের শিশু সন্তানকে নামিয়ে দেওয়া হল।

ভারতীয় একটি নিউজ চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, পাঁচ দিন আগে এক সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে থেকেই মল্লি বাই নামে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাসে করে তাকে দামোহ শহরে নিয়ে আসছিলেন স্বামী রাম সিংহ। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মাঝরাস্তাতেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। এবং গভীর রাতে ওই মহিলার স্বামীকে স্ত্রীর মৃতদেহসহ বাস থেকে নামিয়ে দেন বাস চালক, কন্ডাক্টর এবং অন্যান্য যাত্রীরা। তাদের সঙ্গে পাঁচ দিন আগে জন্মানো নবজাতকটি থাকলেও কেউ আপত্তি জানাননি। রাতের অন্ধকারে জঙ্গল ঘেরা রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ স্ত্রীর মৃতদেহ এবং ছোট্ট সন্তানকে আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন রাম সিংহ। সাহায্য চাইলেও অত রাতে কোনও গাড়ি দাঁড়ায়নি।

শেষ পর্যন্ত মোটরবাইকে চড়ে যাওয়ার সময়ে দুই আইনজীবী ওই পরিবারকে দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সরকারি সাহায্যের জন্য চালু হটলাইন ১০০-তে ডায়াল করে তারাই পুলিশে খবর দেন। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ এসে মৃত মহিলা এবং তার স্বামীর নাম, ঠিকানা লিখে নিয়ে চলে যায়।

পুলিশকর্মীদের দাবি ছিল, ওটা তাদের এলাকা নয়। এর পরে ওই দুই আইনজীবীই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে ওই মহিলার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠান। পরে অভিযুক্ত বাসচালক দাবি করেন, অন্যান্য যাত্রীদের চাপেই তিনি ওই পরিবারকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হন। ফলে বাস চালক এবং কন্ডাক্টর, বাসের অন্যান্য যাত্রী এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। অনেকেরই প্রশ্ন, ওই পরিবারের সঙ্গে থাকা দুধের শিশুটিকে দেখেও কী ওই দুই আইনজীবী ছাড়া আর কেউ ওই একটু মানবিক হতে পারলেন না?

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!