ঢাকা: সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে উত্তেজনা চলছে রাশিয়া সঙ্গে। সে ঘটনার এক দিন পরই ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে রাশিয়ার একটি রণতরি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানায়, অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ নামের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ওই রণতরী সিরিয়ার টার্টাসে অবস্থিত উপকরণগত সহায়তার ঘাঁটি পর্যন্ত যেতে পারে।
সিরিয়ার হোমস প্রদেশে সরকারি বাহিনীর শায়রাত বিমানঘাঁটিতে গত ৭ এপ্রিল ভোরে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৪ এপ্রিলে সিরিয়ার ইদলিবে ‘রাসায়নিক গ্যাস’ হামলার শাস্তি হিসেবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ওই গ্যাস হামলায় শিশুসহ অন্তত ৮৬ জন নিহত হন।
সামরিক-কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস গতকাল জানায়, কৃষ্ণ সাগরের নভোরসি বন্দরে সরঞ্জাম সরবরাহ পাওয়ার পর রণতরী অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ ভূমধ্যসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এর আগে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এই রণতরী কৃষ্ণসাগরে মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল।
রণতরী পাঠানোর এ ঘটনাকে ন্যাটো জোট রাশিয়ার কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হোয়াইট হাউজেরর প্রেস সচিব শন স্পাইসার বলেন, প্রেসিডেন্ট ‘তার পরবর্তী পদক্ষেপ জানাতে চান না’। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে এ সময় স্পাইসার বলেন, ‘প্রথম এবং প্রধানতম বিষয় হলো, প্রেসিডেন্ট আশা করেন, সিরিয়ার সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে সম্পাদিত চুক্তি মেনে চলবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ভূমধ্যসাগরে থাকা দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকেই সিরিয়ায় টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়ে। ওই হামলার পরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা
আপনার মতামত লিখুন :