• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ভূমিকম্প-দূষণ রোধ

এবার হাড়-ডিমের খোসার বাড়ি!


বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৬:৪২ পিএম
এবার হাড়-ডিমের খোসার বাড়ি!

ঢাকা: পরিবেশ দূষণ হ্রাস, ভূমিকম্প সহনীয় আর জনসংখ্যার ধাক্কা সামলাতে এবার হালকা, পরিবেশবান্ধব, সস্তা দামের নির্মাণ উপকরণের কথা ভাবছেন আবাসন প্রকৌশলীরা। কৃত্রিম হাড় আর ডিমের খোসা দিয়ে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছেন তারা। আর এটা বাস্তবায়ন হলে খুব তাড়াতাড়িই বিদায় নেবে কংক্রিট ও ইস্পাত।

এতে বিশেষত, শহরাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে। সেই সঙ্গে দূষণের হারও কমানো যাবে। কেমব্রিজের একদল বিজ্ঞানী এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের গবেষণার মূলে রয়েছে এই দুটি বিষয়ই।

গবেষকদের মতে, বিশ্বে মোট কার্বন নির্গমণের দশ শতাংশের জন্যই দায়ী ইস্পাত ও কংক্রিট। নির্মাণক্ষেত্রের প্রধান এই দুই উপকরণ তৈরিতে প্রয়োজন হয় অতি উচ্চ তাপমাত্রার। এতে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎও খরচ হয়। তারপরেও এ দুটি উপকরণের ওপরই নির্ভরশীল নির্মাণ শিল্প।

সে কারণে বিজ্ঞানীরা তৃতীয় বিকল্প উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে শুরু করেছেন। আর এখান থেকেই কৃত্রিম হাড় আর ডিমের খোসা ব্যবহারের ভাবনা মাথায় এসেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি কৃত্রিম হাড় আর ডিমের খোসা ইস্পাত ও কংক্রিটের চেয়েও শক্তিশালী এবং টেকসই হবে।

কেমব্রিজের বায়ো ইঞ্জিনিয়ার ড. মিচেল ওয়েনের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকদের একটি দল এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। ইউ এস আর্মি কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার এই গবেষণার জন্য অর্থ দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ড. ওয়েন কৃত্রিম হাড় এবং ডিমের খোসার নমুনা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে এটি মানব শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। তবে তা কীভাবে বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়, সেটি নিয়েই চলছে গবেষণা।

নামমাত্র তাপমাত্রায় এই উপকরণ তৈরি করা যায় বলে এই প্রক্রিয়ায় কার্বন নির্গমণের মাত্রা খুব কম থাকে। হাড় ও ডিমের খোসা প্রাণী শরীরের অংশ। প্রোটিন এবং খনিজের যৌগটি অত্যন্ত শক্ত। খনিজের জন্য কাঠামো শক্ত হয় ও প্রোটিন তাকে যে কোনো আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

কেমব্রিজের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের ড. মাইকেল রামেজও ভবিষ্যত্‍ নির্মাণ কৌশল নিয়ে আরেকটি গবেষণা করছেন। বর্তমানে সুউচ্চ বাড়ি নির্মাণে একমাত্র সহায় কংক্রিট এবং ইস্পাত। তবে ড. রামেজ কাঠ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। মানব সভ্যতার আদিতে বাড়ি তৈরিতে কাঠই ব্যবহার হতো।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ড. রামেজ দাবি করেছেন, ‘লন্ডন শহর যদি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সামলাতে চায়, তবে জনঘনত্ব বাড়াতে হবে। তার একটা উপায় হল বহুতল নির্মাণ। আমাদের বিশ্বাস কংক্রিট ও ইস্পাতের চাইতে কোনো প্রাকৃতিক উপকরণ মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

সোনালীনিউজডটকম

Wordbridge School
Link copied!