• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এমন কত ম্যাচ হেরেছি: মাশরাফি


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০১৭, ১০:১২ পিএম
এমন কত ম্যাচ হেরেছি: মাশরাফি

ঢাকা: তীরে এসে তরী ডুবানো বাংলাদেশের পুরানো অভ্যাস! কিন্তু কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে টাইগারদের হারটা অন্যরকমই বলতে হবে। বিশেষ করে শেষ ওভারের প্রতিটি বলে ছিল নাটকীয়তা রোমাঞ্চ আর শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে মাশরাফি, মাহমুদুল্লাহরা। তবে শেষ অবদি ২ রানের জয়ে শেষ হাঁসি হেসেছে লঙ্কানরাই। তাই ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফিও বলে দিলেন প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। অল্পের জন্য হলো না। এমন কত ম্যাচ হেরেছি..।

২০১৫ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হাতের মুঠো গলে বের হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন। অথচ উইকেটে টিকে থাকলেই জয় ধরা দিতো। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচটা ভারত জিতে নিয়েছিল ১ রানে। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১১ রান। এমএস ধোনি এই ওভারটা হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য রেখে ভুল করেছিলেন বলেই মত তখন। প্রথম ৩ বলেই বাংলাদেশের প্রায় মুঠিতে ম্যাচ। প্রথম বলে মাহমুদ উল্লাহ ১ রান নিলেন। পরের বলে মুশফিকের বাউন্ডারি! পরের বলে স্কুপ করে আবার চার মুশফিকের! ৩ বলে ২ রান! কিন্তু এই তিন বলে ৩ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেলো বাংলাদেশ!

বুধবার (২২ মার্চ) লঙ্কানদের দেয়া ৩৫৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে দলীয় ২৩৯ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে টাইগারদের প্রায় জয়ের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ আর মাশরাফি। জয় থেকে ১৫ রান দুরে, এমন অবস্থায় আউট হন মাশরাফি। কিন্তু হাল ছাড়েননি মাহমুদুল্লাহ। ধীরে ধীরে দলকে জয়ের নিকটে নিয়ে যান। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের।  কিন্তু ৯ রান করতে সক্ষম হয়।  শেষ দুই বলে দরকার ছিল ৮ রান।  এ সময় মাহমুদুল্লাহ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলেন। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রানের। কিন্তু তিনি ১ রান করেন। ফলে ২ রানে হারলো বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মাশরাফি জানান, ‘সাড়ে তিনশ’ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারলে খুব ভালো হতো। আমরা কাছে গিয়ে এমন কত ম্যাচ হেরেছি..। এই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এই ম্যাচে জয়টা খুব দরকার ছিল।’

এই ম্যাচে রীতিমতো খুনে মেজাজের ব্যাটিং করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক। ৩৫ বলে সমান চারটি করে ছক্কা-চারে করেন ৫৮ রান। তবে তাতেও যেনো খুশি নন তিনি। এ প্রসঙ্গে ম্যাশ বলেন ‘ইনিংসটা ভালো ছিল ঠিক আছে, কিন্তু দলকে তো জেতাতে পারলাম না। ওই সময়ে আসলে দরকার ছিল (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদকে স্ট্রাইক দেওয়া। ওরা স্লোয়ার দিচ্ছিল, ও তো ব্যাটসম্যান, আমার চেয়ে অনেক ভালো মারতে পারতো।’

অবশ্য এই প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ও বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমান। তবে ওয়ানডে সিরিজে তাদের নিয়েই এই ধরনের পিচে স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফি। এ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা আমাদের মেইন ব্যাটসম্যানদের ছাড়াই আমরা আজকে প্রায় জিতে যাচ্ছিলাম। সাকিব-তামিম থাকলে দেখা যেত। এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ। এমন উইকেট হলে যে কোনো মাঠে তিনশ’ রান চেজ করা সম্ভব।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মার্চ ডাম্বুলায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!