• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এমন ম্যাচ কিভাবে হারে রোহিত-মোস্তাফিজের মুম্বাই?


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৫, ২০১৮, ১১:১৮ এএম
এমন ম্যাচ কিভাবে হারে রোহিত-মোস্তাফিজের মুম্বাই?

ঢাকা : মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ১১ ব্যাটসম্যান মিলে ১০০ রান তুলতে পারল না। জন্মদিনে মাঠে বসে বসে এই ভরাডুবি দেখতে হলো শচীন টেন্ডুলকারকে। টিভির কমেন্ট্রি বক্সে বসে দেখলেন সুনীল গাভাস্কারও।

শচীনকে জয় উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মঙ্গলবার ঘরের মাঠে নেমেছিল মুম্বাই।  সেই মঞ্চ তৈরিও করে দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া, মায়াঙ্ক মার্কণ্ডেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৫তম জন্মদিনটা ভাল কাটল না ক্রিকেটের ঈশ্বরের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর সামনেই চরম ব্যর্থ হলেন মুম্বাই ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৮৭ রানে অল আউট! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৩১ রানে হেরে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের ঠাঁই হল আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে। ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টি জয় তাদের।

গত ম্যাচেও জয় হাতের মুঠোয় এসেও তা হাতছাড়া করেন যশপ্রীত বুমরাহরা। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে শুরু থেকেই তাই আঁটসাঁট বোলিং করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১১৮ রানের বেশি তুলতে দেননি তাঁরা। কিন্তু এই লক্ষ্যেও দলকে পৌঁছে  দিতে পারলেন না রোহিত ও তাঁর ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে ব্যাট করে এত কম রান করে ভারতের মাঠে কোনও আইপিএল ম্যাচ জিততে পারেনি কেউ।

তবে মুম্বইয়ের অবশ্য এই দশা আগেও হয়েছে। এই ৮৭ রানেই তারা আরও একবার অল আউট হয়েছিল ২০১১ সালে। মোহালিতে, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই দিনই মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে ফিরে এল রোহিতদের ব্যর্থতায়। আর এই ব্যর্থতা নিয়ে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত ম্যাচের পরে বলেন, ‘এই হারের জন্য আমরাই দায়ী। ১১৮ রান তাড়া করে জেতা উচিত ছিল আমাদের। আমরা নিজেদের চরিত্রের দৃঢ়তা দেখাতে পারলাম না। সানরাইজার্স কিন্তু পেরেছে। আজ যথেষ্ট ভাল বোলিং হয়েছিল আমাদের। কিন্তু ব্যাটসম্যানরাই ডুবিয়ে দিল।’

দলের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ অধিনায়ক বলেন, ‘অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু এটা খুঁত ধরার সময় নয়। জানতাম রানটা তোলা সহজ হবে না। এখানে বড় শট মারা খুব কঠিন ছিল। শুরু থেকেই সেই চেষ্টাটা করা উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু পারলাম না। আমরা অনেকেই খারাপ শট মেরেছি। আমি নিজেও ভাল শট নিতে পারিনি।’

ছ’ওভারের মধ্যে ২১ রানে এভিন লুইস, ঈশান কিসান ও রোহিত শর্মা ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় মুম্বই। শুরুতে এই ধস নামে রোহিতদের ব্যাটিংয়ে। ঘরের মাঠে দলের হার বাঁচাতে সূর্যকুমার যাদব মরিয়া হয়ে উঠলেও সেই স্পিন জুটি রশিদ খান ও সাকিব আল হাসানের মাঝের ওভারগুলোতে থেমে যায় মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডের গতি। ৬১/৩ থেকে ৭৭/৬ হয়ে যায় তারা। ৮০ রানের মধ্যে আরও দু’উইকেট পড়ে যায় তাদের। এই কঠিন কাজ আর করে উঠতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

সোনালীনিউজ/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!