এমপি লিটন হত্যার চার্জশিট, কাদের খানই মূল আসামি

গাইবান্ধা: বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ডা.আবদুল কাদের খানসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

ঘটনার চার মাস পর রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জেলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুফের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান এ চার্জশিট জমা দেন।

চার্জশিটের বাকি সাতজন হলো-  শাহীন মিয়া, আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা, মেহেদী হাসান,আবদুল হান্নান, প্রধান সহযোগী চন্দন কুমার সরকার, সাবেক সাংসদ কাদের খানের এপিএস শামসুজ্জোহা ও সুবল কসাই। এদের মধ্যে চন্দন কুমার সরকার বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। বাকিরা গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

শাহিন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানা ও মেহেদী হাসানের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর সমস কবিরাজটারি গ্রামে। চন্দন সরকার ও সুবল কসাইয়ের বাড়ি একই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমত গ্রামে এবং শামসুজ্জোহার বাড়ি ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, এমপি লিটন হত্যা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল কাদের খানসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে এদিন বিকেল ৫টায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরদিন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এমপি লিটন হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ডা. আবদুল কাদের খানকে বগুড়ার রহমান নগরের গরিব শাহ ক্লিনিকের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে থাকাকালীন ২৫ ফেব্রুয়ারি এমপি লিটনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া মেহেদী হাসান, শাহিন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম