• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এমফিল ডিগ্রি নিয়েও তিনি চাকরি করেন ঝাড়ুদারের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১, ২০১৭, ০১:২৭ পিএম
এমফিল ডিগ্রি নিয়েও তিনি চাকরি করেন ঝাড়ুদারের

ঢাকা : গত চার পুরুষ ধরে ভারতের বৃহন্মুম্বাই সিটি করপোরেশনে ঝাড়ুদারের কাজ করছেন সুনীল যাদবের পরিবার। দাদার বাবা থেকে শুরু, এখন ৩৮ বছরের সুনীলের হাতে সেই ঝাড়ু। কিন্তু তাদের অবস্থা এক বিন্দুও পাল্টায়নি। তাই যোগ্য সম্মান পেতে অন্ধকার থেকে আলোর পথযাত্রী হতে পড়াশোনাকেই হাতিয়ার করে নেন তিনি। চার চারটি ডিগ্রিও লাভ করেছেন। তারপরও নিজের হাতে বহন করেন নোংরা ময়লা।

বাবা শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়ায় তার পদে নেয়া ছেলে সুনীলকে। ছোট থেকে নিজেকে ক্রীতদাস হিসেবেই ভাবেন তিনি। কিন্তু বিশ্বাস করেন আম্বেদকারের আদর্শে। একমাত্র পড়াশোনাই পারবে তাকে উত্তরণের পথে নিয়ে যেতে।

২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত, এই নয় বছরে সুনীল বিকম পাস করেছেন। সাংবাদিকতা নিয়ে করেছেন বিএ পাস। এমএ করেছেন গ্লোবাইলাইজেশন অ্যান্ড লেবার এবং সোশ্যাল ওয়ার্কে। করেছেন এমফিলও। রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঝাড়ুদারের কাজ করেন, বাকি সময় পড়াশোনা। বিয়ের পর উৎসাহ দিয়ে স্ত্রীকেও স্নাতক করিয়েছেন।

তবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘প্রত্যেক হরিজন মেথর নন, কিন্তু প্রত্যেক মেথর হরিজন। ঝাড়ুদাড়ের কাজে হরিজনদের জন্য একেবারে ১০০% সংরক্ষণ আছে।’ 

সোনালীনিউজ/ এসও

Wordbridge School
Link copied!