• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এরশাদের আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ২৯, ২০১৭, ০১:১২ পিএম
এরশাদের আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

ঢাকা: বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাজার বিরুদ্ধে করা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিল শুনানি শুরুর জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত সোমবার এইচ এম এরশাদের আপিল ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

সোমবার নতুন বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত ২৩ মার্চ এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারিত থাকলেও বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলার নথিপত্র দেখে আদালত বলেন, ‘এরশাদের আপিল ছাড়াও সরকারের আরো দুটি আপিল বিচারাধীন রয়েছে।  ওই দুটি আপিলে সরকার এরশাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে। এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের সাজার রায় বাতিলের জন্য এরশাদ যে আবেদন করেছেন সেটির ওপর রায় ঘোষণা করলে তা যুক্তিসংগত হবে না। অতএব ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিনটি আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি করে রায় দেয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। এই বিবেচনায় তিনটি আপিলের ওপর প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলো।’

গত বছরের ৩০ নভেম্বর দীর্ঘ ২৪ বছর পর দুনীর্তি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু করতে উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।

এর আগে ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই দিন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।

১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। আদালত আপিল গ্রহণ করে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন ও নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!