• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রের ফের পথচলা


আরিফ হোসাইন কনক, জেলা প্রতিনিধি জানুয়ারি ৫, ২০১৭, ০৪:২০ পিএম
এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রের ফের পথচলা

ঢাকা: দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রের তালিকায় থাকা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। জনপ্রিয়তায় পুরুষদের টপকে যাওয়া এই নারী জনপ্রতিনিধির আবারো পথচলা শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা কক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ নেন আইভী।

এর আগে ২০১১ সালে দেশের প্রথম নারী মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১ ডিসেম্বর। এরপর সবদিকে সফলতার আলো ছড়িয়ে পূর্ণ মেয়াদ পার করেন।

এর মধ্যেই ২০১৬ সালের পহেলা আগস্ট কোরিয়া থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্যা এশিয়ান’ এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রদের তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় সাত নম্বরে স্থান পান নাসিক মেয়র আইভী। তালিকাতে এশিয়ার ২০ জন নারী মেয়রের নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও দেয়া হয়।

‘দ্যা এশিয়ান’-এ উল্লেখ করা হয়, ভার্জিনা রাগী হলেন রোমের প্রথম নির্বাচিত নারী মেয়র। তিনি ৬৭ দশমিক ২ ভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। রোমের সিটি হল থেকে ‘বৈধতা এবং স্বচ্ছতা’ আনতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মেয়রদের শতকরা ৫ ভাগ মাত্র নারী। আর বিশ্বব্যাপী মাত্র ২০ ভাগ নারী কাউন্সিলর হিসেবে রয়েছেন।

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা মমতাজ বেগম ও বাবা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা। চুনকা পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ডা. আইভী হলেন প্রথম সন্তান।

পেশায় একজন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক হলেও জনসেবাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতার পর দুই-দুবার (১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ হতে ১৯৭৭ সালের ৯ মার্চ এবং ১৯৭৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হতে ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শপথকালে

১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে পৌরপিতা হন আলী আহাম্মদ চুনকা। ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান পৌরপিতার উপাধিপ্রাপ্ত আলী আহাম্মদ চুনকা। ১৯৮৬ সালে আইভী বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ওদেসা নগরের পিরাগভ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ পৌর নির্বাচনের মাত্র ১৭ দিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে তাকে উড়িয়ে দেশে আনা হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়ে তার পক্ষে নারায়ণগঞ্জে জোর প্রচারণা চালান দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা।

২০১১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো নারী মেয়র নির্বাচিত হন। সেই নারীই হলেন নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। প্রথম দফায় (৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত) নাসিক নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিপুলি ভোটে পরাজিত করেন। ওই নির্বাচনে দলীয় সমর্থন না পেলেও পিছু হটেননি আইভী। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান দলীয় মনোনয়ন পেলেও আইভী বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করতে গঠন করা হয় ‘সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’। নির্বাচনে আইভী পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। তার স্বদলীয় প্রতিপক্ষ শামীম ওসমান পান অর্ধেকেরও কম ৭৮ হাজার ভোট।

মেয়র আইভীর শপথ গ্রহণ

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!