• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এসএসএফকে আরো আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৫, ২০১৮, ১০:৫৭ পিএম
এসএসএফকে আরো আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ফটো

ঢাকা: স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর সদস্যদের দায়িত্বশীলতা, আন্তরিকতা ও পেশাগত দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে এই বাহিনীকে আরো আধুনিক সুসজ্জিত করে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, এসএসএফ’র সদস্যদের ওপর দেশের অতিব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার ভার ন্যস্ত থাকে। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি তাদের কর্তব্যপরায়নতা, আন্তরিকতা এবং কর্মদক্ষতা প্রত্যক্ষ করেছি।

রোববার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এসএসএফ’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীন এই দেশকে আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ এবং জাতি হিসেবে এই দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে ফের ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।  পঁচাত্তরের কালরাতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না। জাতির জনকের শাহাদাতের পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছিল।

এসএসএফ’র আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রশংসা বিদেশী অতিথিরা করে যান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভিআইপি অতিথিরা আসছেন বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিন বা সপ্তাহে ভিআইপিরা আসছেন এবং যারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পাবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য যখন আমরা এসএসএফকে দায়িত্ব দেই তখন এত নিষ্ঠার সঙ্গে এত চমৎকারভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেন যে, এসব ভিআইপিরা প্রত্যেকেই যাবার সময় আমার কাছে এই এসএসএফ-এর নিরাপত্তার নিয়োজিতদের প্রশংসা করে যান।

তিনি বলেন, সেজন্য আমি সত্যি গর্ববোধ করি এবং সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই বাহিনীর সকল সদস্যকে। যারাই আমাদের দেশে এসেছেন তাদের সকলেই প্রশংসা করে গেছেন। কাজেই এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় প্রাপ্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্বেই ভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, যার অন্যতম একটি কারণ বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। আর বাংলাদেশের মত একটি দেশে যেখানে হত্যার রাজনীতি, ক্যু, ষড়যন্ত্র, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা চলে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের কর্মকান্ড বিদ্যমান সেখানে এটি আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং।

এসএসএফ সদস্যদের আরো দক্ষ এবং প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের পরিবর্তন হচ্ছে আর যারা অপকর্ম করতে চায় তারাও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট পারদর্শী সেই দিকটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শফিউর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!