‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’

সাতক্ষীরা: আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অচাষকৃত শাক-সবজির কোন বিকল্প নেই। আমরা দিন দিন রাসানিক সার ও কীটনাশক সার দেয়া শাক-সবজি খেয়ে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছি। কিন্তু আমাদের বাসার আশপাশে এসব অচাষকৃত শাক-সবজি খেলে আমাদের উপাকার হবে ও পুষ্টি চাহিদা মিটবে। যেমন থানকুনি আমাশয় প্রতিষেধক। তেলাকচু ডায়াবেটিসের মহৌষধ আর কচুর পাতা চোখের জন্য ভাল। কলার মোচায় প্রচুর আয়রন থাকে।

এছাড়া রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ কলমি, দস্তা কচু, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, শাপলা, ঘ্যাটকল, কাটানটিশাক পেপুলসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতা।

আর এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরে পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।

এর আগে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্সের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উক্ত স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকা সানজিদা হোসেন, সোনিয়া ইসলাম, এস এম সালাউদ্দিন, গোলাম রহমান।

এসময় আরও বক্তব্য দেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারন সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সামছুন্নাহার মুন্নি, প্রচার সম্পাদক নূরুল হুদা, সিনিয়র সদস্য সাঈদুর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের ফজলুল হক প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন