• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এয়ারপোর্ট ফুটওভার ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন


বিশেষ প্রতিনিধি আগস্ট ১৭, ২০১৬, ০৩:৪৩ পিএম
এয়ারপোর্ট ফুটওভার ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

বহুল প্রতীক্ষিত এয়ারপোর্ট ফুটওভার ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। এর আগে গত ৪ আগস্ট নির্মাণ কাজ বাকি রেখে শুধু হাজীদের রাস্তা পারাপারের অসুবিধা দূর করতে খুলে দেয়া হয়েছিল এই ফুটওভার ব্রিজটি। 

বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অত্যাধুনিক এই ফুটওভার ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক। 

anis

ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত স্টিলের তৈরি শিশু ও বয়স্কবান্ধব এ ফুটওভার ব্রিজে ওঠার জন্য রয়েছে চলন্ত সিঁড়ির সুবিধা। এটি নির্মাণ করেছে নারায়নগঞ্জে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, সদ্য যোগদানকৃত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আবদুর রাজ্জাক, সদ্য সাবেক প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম সালেহ ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এস আই এম জাহানইয়ার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবছার উদ্দিনসহ ডিএনসিসি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হল। ৬৩.৪০ মিটার (প্রায় ২০৮ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ২.৩০ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট) প্রস্থের এ ফুটওভার ব্রিজটির তলদেশ রাস্তা থেকে প্রায় ৬.৫০ মিটার (২১ ফুট ৩ ইঞ্চি) উঁচু। ব্রিজের ছাউনিতে গ্লাস ফাইবারের শিট ব্যবহারের ফলে খরতাপ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। রাতে চলাচলের জন্য ব্রিজটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। 

anis

ব্রিজটি উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় মেয়র আনিসুল হক বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে এক সম্পূর্ণ নতুন ঢাকা উপহার দিতে চান তিনি। এ ফুটওভার ব্রিজ সেই উদ্যোগের একটি ক্ষুদ্র অংশ। খিলক্ষেত এবং রেডিসন হোটেলের সামনে একই মানের আরও দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। 

উত্তরাবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে রাস্তাঘাটের এমন উন্নয়ন তারা প্রত্যক্ষ করেননি। রাস্তাঘাটে আগে যেসব আবর্জনা স্তুপাকারে পড়ে থাকত তার শতকরা ৯০ ভাগ ইতোমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট আবর্জনা অপসারণে তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। 

মেয়র তাঁর বক্তব্যে মহানগরীর নিরাপত্তা বিধানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, যানজট নিরসনে বিশেষ সার্কুলার বাসসার্ভিস ও রিক্সাসার্ভিস চালুকরা, সবুজায়নের জন্য রাস্তার মধ্যবর্তী মিডিয়ান, ফুটওভার ব্রিজ এবং বাড়িবাড়ি নানাধরণের ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগানোর উদ্যোগের পাশাপাশি সম্প্রতি চালু হওয়া ‘নগর’ অ্যাপের বিষয়ে বিশেষভাবে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!