• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘ঐকমত্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি’


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি নভেম্বর ১৯, ২০১৬, ০১:৪২ পিএম
‘ঐকমত্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ঐকমত্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি। আমি নিজে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলাম। সকাল ১০টায় ফোন করেছিলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তার সময় হয়নি। বিএনপির নির্বাচনে না আসার দায় বাংলাদেশের মানুষ কেন নেবে?

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সে এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন পদ্ধতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আন্দোলন মানেই জনগণকে পুড়িয়ে মারা, হত্যা করা খুন করা। আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা থেকে শুরু করে কী ধরনের কাজে যে তারা করেছে। আসলে এদেশের স্বাধীনতা তারা চায় না, বিশ্বাস করে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পর ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। আমাদের মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়ে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২১ বছর এদেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে। বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের একটি প্রজন্ম সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে। যেসব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে তাদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা। ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করে।

ঘরের পাশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছি। প্রতিটি বিভাগে করবো। আগে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা অনেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল, মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চাইলে বলছি, অমুক জায়গায় করলে অনুমোদন পাবেন। তারা করছেন।

এদিকে, দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ২৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছেন।

শুরুতেই বিএনপি-জামায়াতের সহিংস আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র রক্তাক্ত বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়ায় প্রচারিত হয়। এরপর চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হয়। নগরীর লালদিঘি ময়দানে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন।

এরপর বক্তব্য দেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ূব ভূঁইয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবুদ্দিন ও মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।

সোনালীনিউজ/ডাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!