• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিদ্রোহী বিষয়ে স্থানীয় সমাধানে তাগিদ

ঐক্য গড়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে চায় আ. লীগ


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০৩:০২ পিএম
ঐক্য গড়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে চায় আ. লীগ

ঢাকা : স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন হলেও দুই সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে ঘর ঠিকঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দুই সিটির ভোটে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে সংগঠনের ঐক্য নিশ্চিত করতে চায় দল। এ জন্য দুই সিটির সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেই এ বিষয় তদারকি ও নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এর অংশ হিসেবে গত বুধবার রাতে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে গাজীপুরের প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই দিন মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় চার নেতা খুলনায় কর্মিসভা করেন। উদ্দেশ্য বিরোধ মিটিয়ে জয় ঘরে তোলা।

দলীয় সূত্র বলছে, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিরোধ মেটানোর প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহীদের হুশিয়ার করা হলেও গাজীপুরে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জটিলতা মেটানোর দায়িত্ব স্থানীয় নেতাদের দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিনিধি সভা করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।   

দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবার দলের ঐক্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কারণ গত নির্বাচনে সরকারের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের একটা অংশ নিষ্ক্রিয় ছিল পরবর্তীতে তা পরিষ্কার হয়েছে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ এপ্রিল। পরদিন ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে। জানতে চাইলে খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গতবার কিছু সমস্যা ছিল। এবার সে সমস্যা উতরানো যাবে।

খুলনার গল্লামারি স্মৃতিসৌধের কর্মিসভা নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা হয়েছে। সামনে নির্বাচন থাকায় স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গাজীপুরের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা মেটাতে স্থানীয় তিন নেতা আজমতউল্লাহ খান, জাহাঙ্গীর আলম ও সদর আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে বৈঠক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ নিয়ে আজমত উল্লাহ খান বলেন, মনে কষ্ট থাকলেও আমার কাছে দল বড়। নৌকা প্রতীক মুখ্য। নেত্রীর সম্মান ও নৌকাকে বিজয়ী করা আমার প্রধান দায়িত্ব। কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 
গাজীপুরের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য নির্বাচনে আমাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ কম। আচরণ বিধির মধ্যে থেকে ভোটার, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন ৫৭ সাধারণ ও ১৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১ সাধারণ এবং ১০ সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!