• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস আজ


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৩, ২০১৭, ০৯:২৫ এএম
ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস আজ

ঢাকা: আজ জেলহত্যা দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে বেদনাবিধূর ও কলঙ্কময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে  চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

আজ শোকাবহ তেসরা নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়াই ছিল ঘাতকদের পরিকল্পনা। আর চার নেতার পরিবারের সদস্যদের চাওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরে সক্রিয় হবে সরকার।

তখন মধ্যরাত। পূর্ব পরিকল্পনায় অতর্কিত হামলা। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা চার সূর্য সন্তানকে প্রথমে গুলি তারপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হায়েনার দল। তারপরও রাত শেষে ভোর হয়। তবে বাংলার সেদিনের ভোর ছিল গভীর অন্ধকারে ঢাকা।

তবে মৃত্যুর আগে এই চার নেতা রেখে গেছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যা সমর্পিত ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে। ভাষা আন্দোলন দিয়ে শুরু এরপর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ছিলেন তারা অগ্রপথিক। আর সেটাই কাল হলো তাদের জন্য। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকদের প্রধান শক্রতে পরিণত হন চার নেতা। আর তাই তাদের হত্যা করে নিশ্চিত থাকতে চাইলেন ষড়যন্ত্রকারীরা। স্বভাবতই প্রশ্ন কি ছিল হত্যাকারীদের চাওয়া।

মেসবাহ কামাল বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এবং তেসরা নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিয়ে তারা মনে করেছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি দেশে নিতে পারবেন কিন্তু তারা নিশ্চিত হতে পারেনি, তাই এই তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা।

চার নেতার সন্তানরা হারিয়েছেন তাদের পিতাকে। দেশও হারিয়েছে তার সেরা সন্তানদের। আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের বিচার হলেও, সবার শাস্তি কার্যকর করা যায়নি আজও। তাই তো ন্যায় বিচারের অপেক্ষার প্রহর কেবল দীর্ঘায়িত হয়।

মোহম্মদ রেজাউল বলেন, কারা এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল টা এখনো কেন খুঁজে বের করা হয়নি? এটা আমরা জানতে চাই।

চার নেতার পরিবারের সদস্যদের চাওয়া খুব সামান্যই, কলঙ্কজনক এই অধ্যায়ের কথা জানুক নতুন প্রজন্ম।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!