• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ও’কেফির বোলিং নৈপুণ্যে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৫:৫৮ পিএম
ও’কেফির বোলিং নৈপুণ্যে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা: উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো ভারতে খেলতে এলে তাদের জন্য স্পিন ফাঁদ পেতে রাখে স্বাগতিকরা। অস্ট্রেলিয়ার জন্যও তাই করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের সেই পাতানো ফাঁদে আটকে গেল টিম ইন্ডিয়া। অসি স্পিনার স্টিভ ও’কেফির জাদুকরী বোলিংয়ে পুনে টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। ফলে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই ম্যাচের লাগাম শক্তহাতে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে গুটিয়ে যাবার পর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে অসিরা। ফলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২৯৮ রানে এগিয়ে সফরকারীরা।

টেস্টের প্রথম দিনই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দেয়ার দারুন এক সুযোগ পেয়েছিলো ভারত। কিন্তু শেষ বিকেলে ব্যাটসম্যানে রুপ নেন বোলার মিচেল স্টার্ক। তার অপরাজিত ৫৭ রানে প্রথম দিনই অলআউটের লজ্জা এড়ায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্বিতীয় দিন সকালে ৫ বলের বেশি টিকতে পারেনি অসিরা। ৬১ রানে স্টার্ককে থামিয়ে দেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ফলে ২৬০ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। পেসার উমেশ যাদবের ৪ ও অশ্বিন ৩ উইকেট নেন।

এরপর নিজেদের ইনিংস শুরু করে দলীয় ২৬ রানে ওপেনার মুরালি বিজয়কে হারায় ভারত। ১০ রান করেন তিনি। বিজয়কে হারানোর পর জুটি বাধাঁর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল ও তিন নম্বরে নামা চেতেশ্বর পূজারা। ১৮ রানের জুটিও গড়ে তোলেন তারা। তবে দু’জনের পথ চলাতে বাধাঁ হয়ে দাড়ান অস্ট্রেলিয়ার সেরা পেসার স্টার্ক।

১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পূজারাকে ফিরিয়ে দেন স্টার্ক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। ভারতের মেরুদন্ড অধিনায়ক কোহলির বিদায়ও নিশ্চিত করেন স্টার্ক। একই ওভারের চতুর্থ বলে কোহলিকে পরিকল্পনার ছকে ফেলেন তিনি। এতে ৩০ মাস ও ১০৪ ইনিংস পর শুন্য হাতে বিদায় নেন কোহলি। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে শুন্য রানে ফিরেছিলেন কোহলি।

দলের মেরুদন্ড কোহলি আউট হওয়ার সময় ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৪৪ রান। এতে ভড়কে যাননি রাহুল ও পাঁচ নম্বরে নামা আজিঙ্কা রাহানে। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁেধ পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন রাহুল ও রাহানে। পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন। ৩২ ওভার শেষে ভারতের স্কোর গিয়ে দাড়ায় ৩ উইকেটে ৯৪ রান।

এরপরই লন্ডভন্ড হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। রৌদ্রজ্জল আবহাওয়ায় সুনামির রুপ ধারণ করেন ও’কেফি। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আক্রমনে এসে প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশুন্য। দ্বিতীয় স্পেলেও তিনি অসহায়। ৪ ওভারে ১১ রানে উইকেটশুন্য।

ও’কেফির এমন দু’টি স্পেলে তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলো ভারত। কিন্তু তৃতীয় স্পেল থেকেই রুদ্ধমূর্তির ধারন করেন ও’কেফি। পরের ২৫ ডেলিভারীতে মাত্র ৫ রানে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন ও’কেফি। তাতে ৩ উইকেটে ৯৪ থেকে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। রাহুল ৬৪, রাহানে ১৩, উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ০, রবীন্দ্র জাদেজা-জয়ন্ত যাদব ২ রান করে এবং উমেশ যাদব ৪ রান করে ফিরেন। অশ্বিন ১ রান করে অসি আরেক স্পিনার নাথান লিঁও’র শিকার হন। আর অপরাজিত ২ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইশান্ত। ফলে ও’কেফির বোলিং ফিগার দাড়ায় ১৩ দশমিক ১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট।

প্রথম ইনিংস থেকে ১৫৫ রানের লিডটা দিন শেষে ২৯৮ রানে নিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। কারন দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে তারা। ২৩ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে ভারতকে খেলায় ফেরানোর পথ তৈরি করছিলেন অশ্বিন। কিন্তু সেই পথ নষ্ট করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এজন্য ভারতীয় ফিল্ডারদের অবদানটা অনেক বেশি।

তিনবার জীবন পেয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন স্মিথ। তার সঙ্গী মিচেল মার্শ অপরাজিত আছেন ২১ রানে। এছাড়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব ১৯ ও ম্যাট রেনশ ৩১ রান করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!