• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওরা মানুষ, না অন্যকিছু!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জানুয়ারি ১৫, ২০১৭, ০৯:০২ পিএম
ওরা মানুষ, না অন্যকিছু!

ঢাকা: তখন ছিলো ঠিক সন্ধ্যা। চার বছরের মেয়েটি তার বাড়ির সামনেই খেলছিলো। এলাকার এক পরিচিতের নজর পড়ে ওই শিশুটির দিকে। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় সে। সঙ্গে ছিলো তার আরও তিন সঙ্গী। সেখানেই তারা শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ভয়াবহ অত্যাচারের পর এদেরই কেউ এক জন ভারী কিছু দিয়ে শিশুর মাথাটা থেঁতলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় শিশুটি।

প্রমাণ লোপাটের জন্য সামনের জলাজমিতেই তার দেহ পুঁতে দেয় তারা। এঘটনার পর এলাকারই একটি রেস্তোরায় নিশ্চিন্তে মাছ-ভাত দিয়ে রাতের খাওয়া খায় তারা। ভারতের মুম্বইয়ের অন্ধেরির আজাদনগর এলাকার এমন লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দিলেন পুলিশ।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল মুম্বইয়ের অন্ধেরির আজাদনগর এলাকার ওই শিশুটি। তাকে গণধর্ষণের পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত চার জন। এর দিন তিনেক পরে তার বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিড়ালে তার পায়ের অনেকটা অংশই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, রবিবার অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক জন এখনও পলাতক। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছেন এলাকাবাসীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে কোনও খোঁজ মিলছিলো না ওই শিশুটির। সারা রাত ধরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তার দেখা মেলেনি। পরের দিনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার।

পেশায় টেম্পোচালক তার বাবা বলেন, “সেদিন সন্ধ্যার সময় বাড়ির বাইরেই খেলছিল আমার মেয়ে। রাত ৮টা নাগাদ তাকে শেষ বার দেখি। এরপর আর তাকে দেখতে পাইনি।”

নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আজাদনগর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক মহেশ পাতিল বলেন, “গত ১২ জানুয়ারি সন্ধেয় খবর পাই, সামনের জঙ্গলের জলাজমিতে কোনও মানুষের পায়ের অংশ চিবিয়ে খাচ্ছে একটি বিড়াল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওটা একটি শিশুর দেহ। এরপর সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।” তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই দেহটি আজাদনগরের নিখোঁজ শিশুর। ময়নাতদন্তের পর গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে মারার জন্যই যে ওই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে তা-ও রিপোর্টে প্রকাশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই ওই এলাকায় মজুরের কাজ করে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!