• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে রোগীরা


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৩, ২০১৬, ১২:১৪ পিএম
ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে রোগীরা

দেশের বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। এতে একদিকে যেমন চিকিৎসাব্যয় বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে রোগীদের হয়রানি। এ বিষয়ে ঔষধ অধিদপ্তরের ভাষ্য, যৌক্তিক কারণেই দাম বাড়ছে ওষুধের। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঔষধ নীতি প্রণয়ন করা গেলে সমাধান আসবে এ সমস্যার।

সপ্তাহ খানেক আগেও নিউরো-বি ও ক্যালবো-ডি নামে ব্যথা এবং ক্যালসিয়ামের ওষুধের দাম ছিলো ১৫০ টাকা। হঠাৎ করে বাড়িয়ে বাজারে এখন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

এছাড়াও গত এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কিছু ওষুধের দাম। গত এক বছরের হিসেবে দেখা যায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি। জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় এসব ওষুধের দাম বাড়ানোর ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি বেড়েছে রোগী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানিও।

দেশের বাজারে ১৪ হাজারেরও বেশি ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে জেনেরিক বা মূল ওষুধের সংখ্যা তিন হাজার। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে সরকার দাম নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র ১১৭টির। আর বাকিগুলোর ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণের স্বাধীনতা ওষুধ ব্যবসায়ীদের হাতে। ওষুধের দাম বাড়ার কারণ জানতে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাদের। তবে সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছে নীতিগত প্রশ্নের ওজুহাত দেখিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন এর পরিচালক।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রুহুল আমিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু কারণ দেখিয়ে তারা এগুলো করেছে। যখন কাঁচামালের দাম বেড়ে যায় তখন তারা সেই দিকে যায়।’

বর্তমানে দেশে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৩৬টি। এর মধ্যে শুধু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করে ২০৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানিই নিয়ন্ত্রণ করে ৮০-৮৫ শতাংশ ওষুধের বাজার।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বিষয় ছিলো স্বাস্থ্য নীতির অংশ হিসেবে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন করা। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ওষুধের কোনো নীতি কার্যকর করা গেলে একদিকে যেমন ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে ওষুধের দাম নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠে সে বিষয়টিরও পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

ঢাবি ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে ওষুধের যে নীতি জমা আছে সেখানে বলা আছে ওষুধের মূল কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কার থাকবে কতটুকু থাকবে সবই সেখানে আছে। ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে বিক্রেতারাও দায়ী থাকেন।’

তারাও বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে দায়ী থাকেন বিক্রেতারাও।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!