ঢাকা: শিকার ধরার আগে চিতা নাকি দুই পা পিছিয়ে যায়। তারপর সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইকুয়েডরের কিটোয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয় হাজার ফুট উচ্চতায় যেখানে বাইরের ফুটবলারদের নব্বই মিনিট খেলাই কষ্টসাধ্য সেখানেই চিতার রূপে আবির্ভূত হলেন লিওনেল মেসি।
অবসর ভেঙে ফিরে আসার পর অনেকটা ঘাপটি মেরে ছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে প্রায়ই তাকে দেখা গেছে নিজের ছায়া হয়ে থাকতে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শেষ দিকে সেই ছায়াও যেনো ঝাপসা হয়ে পড়েছিলো। ইকুয়েডরের বিপক্ষে জিততেই হবে- এমন সমীকরণে চেরাগ থেকে বেরিয়ে আসলেন মেসি। দেখালেন ঝলক।
এ কেবল মেসিকে দিয়েই সম্ভব! প্রবল স্রোতের প্রতিকূলে খড়কুটো আঁকড়ে থাকা দলটির সমর্থকরা হয়তো প্লেঅফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেই খুশি ছিলো। রেফারি কিক অফের বাঁশি বাজাতে না বাজাতেই গোল খেয়ে সেই স্বপ্নও ধুসর হয়ে পড়েছিলো আর্জেন্টাইনদের। মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ! এমন শঙ্কায় কুঁকড়ে উঠছিলো লাখো-কোটি ফুটবল প্রেমীদের বুক।
কোপার শততম আসরে চিলির কাছে হেরে শিরোপা খোয়ানোর হতাশায় আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন লিওনেল মেসি। অভিমান ভেঙে আবারো গায়ে জড়িয়েছেন আকাশী-সাদা জার্সি। ততদিনে ২০১৮ বিশ্বকাপের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে আলবিসেলেস্তারা। মাঝে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি আরো একটি ম্যাচ।
কিন্তু না! শেষ সময়ে খোলস ছেড়ে বের হলেন ‘ভিনগ্রহের’ এ জাদুকর। সে যে দুর্বার, সে যে ‘অপ্রতিরোধ্য’। হ্যাট্রিক করে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেলেন সরাসরি বিশ্বকাপে। জানান দিলেন, রাশিয়া! তুমি প্রস্তুত হও, আমি আসছি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :