• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’ বুঝিয়ে দিলেন ধোনি


ক্রীড়া ডেস্ক মে ১৭, ২০১৭, ০৫:৪১ পিএম
‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’ বুঝিয়ে দিলেন ধোনি

ঢাকা: তাঁকে নিয়ে এবারের আইপিএলে কম কালি খরচ হয়নি। সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো ব্যক্তিত্ব বলেছেন, ধোনি টি-টোয়েন্টির অনুপোযোগী। স্বয়ং মালিকপক্ষ ধোনির ওপর নাখোশ ছিলেন। প্রকাশ্যে তাকে অপমান করেছেন। কিন্তু ধোনি নিজে তো জানতেন তিনি কী করতে পারেন? ওস্তাদের মার যে শেষ রাতে সেটা আরো একবার ক্যাপ্টেন কুল প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে। ধোনির ২৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিও পুণেকে প্রথমবার তুলে দিল ফাইনালে। অথচ আইপিএল শুরুর আগে যার কাছ থেকে নেতৃত্বের বাটনটা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই তিনিই পুণেকে নিয়ে গেলেন দশম আইপিলের ফাইনাল মঞ্চে।

একটা সময় মনে হচ্ছিল পুণে দেড়শো রানও তুলতে পারবে না। কিন্তু ছবিটা বদলে দিলেন ধোনি। কলকাতার ছেলে মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে। ধোনি-মনোজের দাপটে পুণে তুলেছিল চার উইকেটে ১৬২। জবাবে মুম্বাই থেমে গেছে ৯ উইকেটে ১৪২ রানে। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামা পুণের প্রথম ১৭ ওভারে দাপট ছিল মুম্বাই বোলারদের।

কিন্তু শেষ দিকে দেখা গেলো সেই পরিচিত ছবি। ওয়াংখেড়েতে ধোনি ধামাকা। যে মাঠে তিনি বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন দেশকে, সেই মাঠেই ফাইনালে তুললেন তাঁর আইপিএল দল পুণেকে। মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান আর জসপ্রীত বুমরার করা শেষ দু’ ওভারে উঠলো ৪১ রান। ধোনি করে গেলেন ২৬ বলে ৪০। একটাও বাউন্ডারি মারেননি, কিন্তু ইনিংসে ছিল পাঁচটা ছয়। সঙ্গী মনোজ করলেন ৪৮ বলে ৫৮। চারটা বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে যায় মুম্বাই। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট পড়ে যায়। ফিরে যান লেন্ডল সিমন্স, রোহিত শর্মা এবং অম্বাতি রাইডু। ওয়াশিংটন সুন্দরের অফস্পিনের সামনে আটকে যায় মুম্বাই। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সুন্দরই। ম্যাচ শেষে পুণে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলে গেলেন, ‘ধোনি আর মনোজ যা ব্যাটিং করল, অসাধারণ। বল ভাল ব্যাটে আসছিল না। কিন্তু তাতেও শেষ দিকে বড় শট খেললো ওরা।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!