রাজশাহী: ইসলামী জালসায় বর্তমান সরকারকে ইসলাম বিরোধী বলে মন্তব্য করে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানোয় আয়োজক কমিটির দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়ারপুর নামাজগ্রাম ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ইসলামী জালসার আয়োজন করা হয়েছিল।
ওই জালসায় প্রধান বক্তা হিসেবে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শায়খ ইমান হাসান নাসেরী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন বলে জানান, গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি।
গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলো- ইসলামী জালসার আয়োজক কমিটির সভাপতি বাসুদেবপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য খইবুর রহমান লিটন ও বাসুদেবপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খাদিমুল ইসলাম।
ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, এ ঘটনায় থানায় চার জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়েছে। শায়খ ইমান হাসান নাসেরীকে প্রধান আসামী করে এসআই আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে খইবুর রহমান লিটন ও খাদিমুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি বলেন, শায়খ ইমান হাসান নাসেরীসহ অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে শায়খ ইমান হাসান নাসেরীর ব্যবহৃত কার জব্দ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে নামাজগ্রাম ঈদগাহ্ মাঠে ইসলামী জালসায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শায়খ ইমান হাসান নাসেরী। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বর্তমান সরকারকে ইসলাম বিরোধী বলে মন্তব্য করেন।
এর পর তিনি এ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহনের আহ্বান জানান এবং বলেন, দাঁড়ি টুপিওয়ালা লোকদের রাখবে না সরকার। ইসলামী পরিচয় হলো দাড়ি ও টুপি। বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদের জিহাদে অংশগ্রহণ করে ইসলাম কায়েম করতে হবে।
এমন বক্তব্যের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমান হাসান নাসেরী দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে যান বলে জানান ওসি হিপজুর আলম মুন্সি।
গোদাগাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও উপজেলা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলার বাইরে থেকে বক্তারা এসে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। আর আগেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে গোদাগাড়ী এলাকায়। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বাহির থেকে বক্তা না আনার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সে নির্দেশ অনেকেই মানছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :