• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে বলেই আশাবাদী মাশরাফি


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ২২, ২০১৮, ০৫:৪০ পিএম
ওয়ানডে বলেই আশাবাদী মাশরাফি

ছবি: বিসিবি

ঢাকা: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বরাবরই ভাল দল বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর ধরেই সেই প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির-মাহমুদউল্লাহরা। এবং সেটা যে কোন কন্ডিশনেই। তাই টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নাস্তানাবুদ হলেও ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ আছে লাল সবুজের জার্সিধারীদের। কারণ এই ফরম্যাটটা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভাল বোঝে। দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে।

স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে এরইমধ্যে নিজেদের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছেন লিটন-মুশফিকরা। তাই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে রঙিন জার্সিতে টাইগারদের চেনা রুপে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর সেটা ওয়ানডে বলেই নড়াইল এক্সপ্রেসকে প্রেরণা জোগাচ্ছে।  

টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর নতুন করে ওয়ানডের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দলে যোগ দিয়েছেন ছয় ক্রিকেটার। মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রহমান, আবু হায়দার রনি এনামুল হক বিজয়ও ঢাকা থেকে উড়ে গেছেন ক্যারিবীয় দ্বীপে। রোববার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গায়ানায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

ম্যাচে ফাল কিছুর প্রত্যাশা করে মাশরাফি বলেন, ‘দলে নতুন কয়েকজন যোগ দিয়েছে। আশা করি, তারা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক বেশি অভ্যস্ত আমরা। টেস্ট সিরিজে যারা ছিল এবং ওয়ানডের জন্য যারা এসেছে, সবাইকে নিয়ে দলের সমন্বয় বেশ ভালো। আশা করি প্রথম ম্যাচ থেকে সবাই তৎপর থাকবে।’

তবে কাজটি যে খুব সহজনা সেটি ভাল করেই জানা ম্যাশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রয়েছে দুই ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে গুঁড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাদের। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারে দুজন ব্যাটসম্যান আছে, যারা ঝড় তুললে আমাদের কাজটা কঠিন। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। নিজেরা যা পারি, সেসব করতে হবে। ঠিক জায়গায় বল ফেলতে হবে। ওদের দুর্বল জায়গায় বল করতে হবে। দেখা যাক। যদি টপ অর্ডারকে দ্রুত ফেরানো যায়, দারুণ হবে।’

২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায় অবিস্মরণীয় একটি জয় আছে বাংলাদেশে। সুপার এইটের খেলায় সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই মাঠেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গত ১১ বছরে এই মাঠে আর খেলা হয়নি মাশরাফিদের,  এই মাঠকে তাই ঠিক চেনাও বলতে চাইলেন না অধিনায়ক, ‘২০০৭ সালে আমরা এখানে শেষ খেলেছি। এত দিন পর খেললে কিছু আন্দাজ করা কঠিন। তার পরও মনে হচ্ছে ২৬০-২৮০ হতে পারে ভালো স্কোর।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!