ঢাকা : আমদানি বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। এছাড়া মসুর ডাল, আদা ও খোলা চিনির দামও রয়েছে কমতির দিকে।
সপ্তাহ শেষে বেশিরভাগ চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ৭-৮ টাকা বেড়েছে পোলাওয়ের চালের দাম। পাইকারদের অভিযোগ সরকারি মনিটরিং না থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে মিলার ও আমদানিকারকরা।
উৎপাদন বাড়ায় এবং পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বস্তি রয়েছে পেঁয়াজের বাজারে। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২-৩ টাকা কমে ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৭-৩৮ টাকায়। রসুনের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে আলুর দাম।
একজন দোকান মালিক বলেন, 'কোলেস্টেরলের যে আলু আমরা ১৮ টাকায় বিক্রি করেছি, তা এখন ১৯ টাকা, সাড়ে ১৯ টাকায়।
রমজানে কয়েক ধাপে বেড়ে যাওয়া চিনির দাম এখন কমতির দিকে। কেজিতে ২ টাকা কমে বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। একই চিত্র ছোলা, মসুর, মুগ সহ সব ধরনের ডালের দামে।
তবে ভোজ্য তেল ও বেশিরভাগ মসলার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও সপ্তাহ শেষে বেড়েছে জিরা ও এলাচের দাম। বাজারে মানভেদে জিরা কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৩৫০-৪২০ টাকা ও এলাচ কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫শ-১৭শ টাকা।
গত এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের চালের দাম স্থির থাকলেও হঠাৎ উর্ধমূখী পোলাওয়ের চালের দাম। প্রতি কেজি সুগন্ধি চাল ৭৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা দরে।
পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মিলার ও আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়েছে বলে দাবি পাইকারদের। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মিলগুলোতে সরকারি মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :