• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ


আদালত প্রতিবেদক আগস্ট ১৬, ২০১৬, ০৫:২৯ পিএম
কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এটিসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে এ রায় দেন।

আদালত এসব স্থাপনা সরাতে ৯০ দিন সময় দিয়ে রায় পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে স্থানীয় পত্রিকায় নোটিশ দিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে।

জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই কাজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশসহ বিবাদীদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

২০১০ সালে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশ-বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরেরই ১৮ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। নির্দেশনায় আদালত জরিপ করে নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনার তালিকা দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক নির্দেশনা অনুসারে গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন।

রুলসহ এসব বিষয়ের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আদালত কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক।

আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, জেলা প্রশাসনের দেয়া প্রতিবেদনে ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনার কথা বলা হয়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি করে ছয়টি স্থাপনা রয়েছে। এগুলোকে অপসারণের আওতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই দুই কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ অধিদফতরের বরাবরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থে ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে টিকে থাকলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

আরেক নির্দেশনায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের করা জরিপ প্রতিবেদনটি দুই কপি করে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। অপসারণের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদনও জেলা প্রশাসককে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!