• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা আতঙ্কে


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৬, ২০১৮, ০২:২৬ পিএম
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা আতঙ্কে

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে চলমান বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীরা ইদানীং সাদা পোশাকের পুলিশ আতঙ্কে আছেন। বুধবার (২৫ এপ্রিল) এ রেশ দেখা গেছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির মানববন্ধন। কর্মসূচির শেষের দিকে বক্তব্য রাখছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় অবস্থান নেওয়া পুলিশ কার্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে সরে পশ্চিম দিকে যায়। ব্যাপারটি খেয়াল করে এক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব দৌড় দেন। তার দেখাদেখি একই কাজ করেন আরো অন্তত ৮-১০ জন নেতাকর্মী। হাবিবের দৌড় দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এক কর্মী বলেন, কৌশলগত কারণে তিনি এভাবে চলে গেছেন।

শুধু হাবিব নন, কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের অনেকেই মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই কেটে পড়েন। বিষয়টি খেয়াল করে মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, অনুমতি নেওয়ার পরও আজকে পুলিশের এই আচরণ গণতান্ত্রিক নয়।

এদিকে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। কে কার আগে কার্যালয়ে ঢুকবেন তার প্রতিযোগিতা লেগে যায়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে দুই-একজন নেতাকর্মী রাস্তায় ছিটকে পড়েন।

কর্মসূচি শেষে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ বেশকিছু নেতাকর্মী। কিছুক্ষণ কার্যালয়ে অবস্থান শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে সবাই যে যার গন্তব্যে চলে যান।

এর আগে কর্মসূচি চলাকালে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ। গ্রেফতার এড়াতে রাজ এক পর্যায়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ডিবি পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তখন বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।

এ ছাড়া কর্মসূচি শেষে বাসায় ফেরার পথে আটক হন রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলন। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠালে সেখানে মারা যান তিনি। বিএনপির অভিযোগ, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে মিলনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে পুলিশ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!