• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০৬:৫২ পিএম
কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা

কুড়িগ্রাম : জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচিতে নিয়োজিত ১০২ জন শ্রমিকদের প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের মধ্যে ১০ দিন কাজ কম দেখিয়ে ১০ দিনের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন ওই ইউনিয়নের ইউপি মহিলা সদস্য জাহানারা বেগম।

ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম রাকাব সিংগারডাবরী শাখার ব্যাংক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে শ্রমিকদের ৪০ দিনের মজুরির টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু শ্রমিকদের ৪০ দিনের কাজের টাকা না দিয়ে ৩০ দিনের কাজের টাকা দেয়ার কথা বলেন, এবং টাকা নিতে চাপ প্রয়োগ করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে শ্রমিকরা তাদের মজুরির টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা বন্ধ করে ৪০ দিনের মজুরির টাকা বুঝিয়ে দিতে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার এবং রাজারহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

ওই ওয়ার্ডের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক রফিক, লাভলী, দুলাল ও আজিমুদ্দিন জানান, আমরা মজুরির ৪০ দিনের টাকা পেলেও ইউপি সদস্য জাহানারা বেওয়া আমাদেরকে ৩০ দিনের কাজের টাকা দিতে চাচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ আমরা ৪০ দিনের কাজের টাকা বুঝে চাই।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কর্মসৃজন কর্মসূচি কাজের প্রকল্প সভাপতি হওয়ার কথা থাকলেও নিয়মনীতি না মেনে মহিলা সদস্য জাহানারা বেওয়াকে প্রকল্প সভাপতি করা হয়। এমনকি বিল উত্তোলনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে আমার সাক্ষর ছাড়াই মাষ্টার রোল দাখিল করা হয়েছে।

শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশেই এমনটা করা হয়েছে। আমার দাবি শ্রমিকদের ৪০ দিনের মজুরির টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্র নাথ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এমনটি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!