• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলমা শুধু মুখে নয় অন্তরেও থাকতে হবে


ধর্ম ডেস্ক আগস্ট ১৩, ২০১৬, ০৪:৩৫ পিএম
কলমা শুধু মুখে নয় অন্তরেও থাকতে হবে

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ইমানের মূল ভিত্তি। তবে এ কলমা মুখে উচ্চারণ করাই যথেষ্ট নয়, অন্তরে বলিষ্ঠ বিশ্বাস রাখতে হবে। যদি এরূপ বলিষ্ঠতা অন্তরে অনুভব না করা যায় এবং সেখানে কোনোরকমের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহের উদয় হয়, তবে তা সুস্পষ্ট মুনাফেকি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসুল। যে বান্দাই সন্দেহমুক্ত অবস্থায় এ দুটি কথা নিয়ে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম)।

যখন আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ— এ কলমা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করব, তখন এ সুদৃঢ় জ্ঞানের প্রভাব আমাদের জীবনে থাকতে হবে। আর তা হচ্ছে এ কলমার দাবিকে অন্তর ও জবান দ্বারা মেনে নেওয়া ও গ্রহণ করা। কেননা যে ব্যক্তি তাওহিদের দাওয়াত গ্রহণ করবে না; বরং তা প্রত্যাখ্যান করবে, সে মুমিন হিসেবে গণ্য হবে না। চাই তার প্রত্যাখ্যান অহংকারের কারণে হোক বা অবাধ্যতার কারণে, বা হোক হিংসা-বিদ্বেষের কারণে। যেসব কাফের অহংকার করে ও কলমা প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘যখন তাদের বলা হয় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই, তখন তারা অহংকারে ফেটে পড়ে। আর বলে, আমরা কি একজন পাগল কবির কারণে আমাদের উপাস্যদের ছেড়ে দেব?’ (সুরা সাফ্ফাত : ৩৫, ৩৬)।

নিজেদের ইমানদার হিসেবে দাবি করতে হলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কলমার আবেদনের প্রতি অনুগত হতে হবে এবং কর্মজীবনে ইমানের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। আল্লাহর শরিয়া মোতাবেক কর্ম সম্পাদন এবং যা নিষেধ করা হয়েছে তা পরিত্যাগের মাধ্যমেই কলমার সত্যিকার বাস্তবায়ন সম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে আমার কাছে সমর্পণ করে এবং ভালো কাজ করে সে সুদৃঢ় হাতলকে ধারণ করল। আর সব কিছুর পরিণাম আল্লাহর কাছে।’ (সুরা লোকমান : ২২)। আর এটাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্য।

কেউ যদি শুধু মুখে উচ্চারণ করে কিন্তু অন্তরে তা বিশ্বাস না করে, তবে সে কপট— মুনাফেক। আল্লাহতায়ালা মুনাফেকদের দুশ্চরিত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওরা এমন কথা মুখে বলে, যা তাদের অন্তরে নেই।’ (সুরা ফাতাহ : ১১)।

যে মুমিন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কলমাকে ভালোবাসবে সে এর তাৎপর্য ও দাবি অনুযায়ী আমল করতেও ভালোবাসবে। যারা আমল করে তাদের ভালোবাসবে। বান্দা যে তার রবকে ভালোবাসে তার আলামত হচ্ছে, আল্লাহ যা ভালোবাসেন সেও তা ভালোবাসবে। আল্লাহ ও তার রসুল যাকে ভালোবাসেন তাকে ভালোবাসবে। যাকে তাঁরা ঘৃণা করেন তাকে ঘৃণা করবে। তাঁর রসুলের অনুসরণ করবে, তাঁর পথে চলবে ও তাঁর হেদায়াত বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করবে। সূত্র-বিডি প্রতিদিন।

লেখক : মাওলানা মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন, ইসলামী গবেষক।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!