• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কল্যাণপুরে শাম্মী হত্যার তদন্ত করবে পিবিআই


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৬, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম
কল্যাণপুরে শাম্মী হত্যার তদন্ত করবে পিবিআই

ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরে গৃহবধু শামিমা লাইলা আরজু মান্না খান শাম্মীকে হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন (পিবিআই)কে দায়িত্ব দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই নওশের আলীকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিদবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বত:প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলা-‘মাকে বাবা অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে’ তদন্ত কর্মকর্তার গড়িমসির অভিযোগ-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমার বাবা অন্য বাসার এক কাজের মহিলাকে বিয়ে করে। মায়ের গলায় দড়ি দিয়ে বাবা তাকে মেরে ফেলে। এরপর ফ্যানে ঝোলায়।’-মা শাম্মী হত্যার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে এভাবেই মর্মস্পর্শী কথাগুলো বলছিলেন পাঁচ বছরের শিশু আরিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ জুন রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় একটি বায়িং হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন টিটু তার স্ত্রী শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মীকে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে পরদিন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘাতক স্বামী আলমগীর ও তার তৃতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযোগ উঠেছে, আলোচিত এ মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. নওশের আলী। মামলার বাদী বলেন, ঢাকায় অবস্থানরত আসামির ধনাঢ্য ভগ্নিপতি মো. আবদুল বাছেদ অর্থের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন এবং মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহে কাজ করছেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি (দুদক) খুরশীদ আলম খান।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ফৌজদারি মোশন শুনানির এখতিয়ার রয়েছে এই আদালতের। আমরা এ পর্যায়ে প্রতিবেদনের ওপর সুয়োমটো আদেশ দিতে পারব কি? জবাবে দুদক কৌঁসুলি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৯ ধারা মোতাবেক এবং আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী আপনাদের স্বত:প্রণোদিত হয়ে আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। এরপরই হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাতে তলব করে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!