• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়াস

কসোভোর স্বাধীনতা উৎসবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর যোগদান


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ১২:৩৭ পিএম
কসোভোর স্বাধীনতা উৎসবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর যোগদান

ঢাকা : দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে বাংলাদেশের। এরই অংশ হিসেবে কসোভোর স্বাধীনতা ঘোষণার ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সেই সঙ্গে প্রিস্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও প্রতিষ্ঠিত হবে ঢাকার। পরে তিনি যাবেন আলবেনিয়ায়।

সফরকালে তিনি বৈঠক করবেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে। এজন্য গত শুক্রবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কসোভো ও আলবেনিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে দুই দেশ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে বলে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

নিউইয়র্কে কসোভোর কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত টেউটা সাহাতকাইজা ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন নিজ নিজ দেশের পক্ষে যৌথ বিবৃতিতে সই করেন। এতে বাংলাদেশ-কসোভো পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবদানসহ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

কসোভোয় স্বাধীনতা ঘোষণার ১০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে। রাজধানী প্রিস্টিনাতে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আজ রোববার প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসিম থাকির সঙ্গেও বৈঠক করবেন শাহরিয়ার আলম।

এরপর কসোভো থেকে তিনি যাবেন আলবেনিয়া। সেখানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইটজেন জাফেজের সঙ্গে বাংলাদেশ-আলবেনিয়া কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ঢাকায় ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনে কসোভো ও আলবেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানাবেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় এ সম্মেলন হবে।

সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিল কসোভো। জাতিগতভাবে আলবেনীয় এ দেশটির জনসংখ্যা ২০ লাখ। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া ও মেসিডোনিয়ার। ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থাকলেও ইউরোপের বলকান অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশটি ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ কিছু দেশ কসোভোকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে পশ্চিমা চাপ সত্ত্বেও কসোভোকে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেয়নি।

গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসোভোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ। এর আগেই ১১৩টি দেশ কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়। কসোভোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ওইদিনই মার্কিন কংগ্রেসের নিæকক্ষ হাউস অব কমন্সের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানায়।

এরপর গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাসিম থাচির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কসোভোকে স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কূটনীতির ইউরোপমুখী ধারা ফুটিয়ে তোলে।

গত ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার নীতি হচ্ছে ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করা। অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!