• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে হুমকিতে ফেরি চলাচল


মাদারীপুর প্রতিনিধি জুলাই ২১, ২০১৭, ০৬:১৮ পিএম
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে হুমকিতে ফেরি চলাচল

ফাইল ফটো

মাদারীপুর: পদ্মায় তীব্র স্রোত ও চ্যানেল মুখে পলি জমে নাব্যতা সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

এছাড়া গত দুইদিন ধরে রোরোসহ পাঁচটি ফেরি বিকল থাকায় এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পন্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী যানবাহনের বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন বাড়ছে যানজট অন্যদিকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। সেই সঙ্গে খাদ্য, পয়ঃনিষ্কাশনসহ নানা সমস্যার মুখে পড়ছে আটকে থাকা প্রায় দুই শতাধিক পরিবহন শ্রমিকরা।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

ঘাট এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পদ্মায় স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা পলি জমে নৌরুটের চ্যানেলমুখ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে চ্যানেলমুখের প্রশস্ততাও কমে গিয়ে সুরু হয়ে যাওয়ায় চ্যানেল মুখে প্রায়ই আটকে যাচ্ছে ফেরি। এজন্য কর্তৃপক্ষ বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

তবে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগছে, অন্যদিকে দৈনন্দিন ট্রিপ কমে গেছে ফেরির। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিবহন পার হচ্ছে। তাই পরিবহনের লাইন দীর্ঘতর হচ্ছে প্রতিদিন।

এছাড়া এ রুটের ১৯টি ফেরির মধ্যে রোরো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, কে-টাইপ ফেরি কাকলী, কিশোরী, ক্যামেলিয়া ও ডাম্ব ফেরি টাপলো বিকল হয়ে পড়ায় ফেরি চলাচল আরো হুমকির মুখে পড়েছে।

এদিকে ফেরি চলাচলে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়ায় বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও সাধারণ যাত্রীদের লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে উত্তাল পদ্মা পার হতে হচ্ছে। আর এ সকল নৌযানে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম পর্যাপ্ত নেই বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ঘাটে আটকে থাকা ট্রাকের এক চালক জানান, গত পাঁচদিন ধরে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আটকে আছি। এতে খাবার খেতে পকেটের টাকা শেষ হয়ে আসছে, সঙ্গে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের সমস্যা।

বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ফেরিচলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। আর এতে দিনে ট্রিপের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

তবে ঘাটে আটকে থাকা যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!