• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌপথ চালু


মাদারীপুর প্রতিনিধি জানুয়ারি ২০, ২০১৭, ০২:৪৭ পিএম
কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌপথ চালু

মাদারীপুর : কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী ফেরিঘাট উদ্বোধনের পাঁচদিন পর চালু হয়েছে। এতে গত কয়েকদিন ধরে চলা যাত্রী ভোগান্তির শেষ হলো। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে নৌযান চলাচল শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের পন্টুন কাওড়াকান্দি থেকে সরিয়ে কাঁঠালবাড়ীতে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে গত রোববার শুধুমাত্র ফেরিঘাটগুলো কাঁঠালবাড়ী নেয়া হয় এবং ওই ঘাট থেকে ফেরি চলাচল করে আসছিল। উদ্বোধনের পর কয়েকদিন পার হলেও লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট কাঁঠালবাড়ীতে স্থানান্তর না হওয়ায় হয়রানির শিকার হয়ে আসছিল সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল থেকে এ হয়রানির অবসান হলো। উদ্বোধন হওয়া নতুন এই ঘাট থেকেই লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোটসহ সকল নৌযান শিমুলিয়ার উদ্দেশে চলাচল করবে বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত এ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করে নৌপথের দূরত্ব কমাতে গত ১৫ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট। কাঁঠালবাড়ীতে স্থানান্তর করা হয় কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট। আর এর ফলে দীর্ঘদিনের পুরনো কাওড়াকান্দি ঘাটটির বিলুপ্তি ঘটে।

ঘাট স্থানান্তরের ফলে পদ্মার দূরত্ব কমে যায় প্রায় ৫ কিলোমিটার। আর তাই নদী পারাপারে পূর্বের চেয়ে সময়ও বাঁচে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট। এতদিন শুধু ফেরি পারাপার হলেও শুক্রবার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটসহ সকল নৌযান কাঁঠালবাড়ী থেকেই চলাচল শুরু করেছে। ফলে কোন যাত্রীদের আর কাওড়াকান্দি ঘাটে আসতে হবে না।

কাওড়াকান্দি লঞ্চ ঘাটের টার্মিনাল পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ জানান, কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত চায়না ড্রেজারের একটি ড্রেজার বিকল থাকায় ড্রেজারটি সরিয়ে নিতে পারছিল না ড্রেজার কর্তৃপক্ষ। আর এ কারণেই লঞ্চ  ও স্পিডবোট ঘাটের পন্টুন কাঁঠালবাড়ীতে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ড্রেজারটি সরিয়ে নেয়ার ফলে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের পন্টুন কাঁঠালবাড়ীতে স্থাপন করা গেছে। এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু করেছে নতুন এই ঘাট থেকে।

উল্লেখ্য, এ নৌরুটে ১৭টি ফেরি, ৮৬টি লঞ্চ ও আড়াইশ’র বেশি স্পীডবোট চলাচল করে। আর নতুন এই ঘাটে যানজট এড়াতে পরিবহনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক পৃথক পার্কিং ইয়ার্ড। পরিবহন ফেরি উঠা ও নামার জন্যও রয়েছে আলাদ পথ। দূরপাল্লার বাস, লোকালবাস, মাইক্রোবাসের জন্য করা হয়েছে ভিন্ন পার্কিং ব্যবস্থা। কমপক্ষে সহস্রাধিক পবিরহন এক সাথে পার্কিং-এর সুবিধা রাখা হয়েছে এ ঘাটে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!