• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘কাউয়া-মুরগি’র বিশ্লেষণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর ডিপিএস!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক এপ্রিল ২০, ২০১৭, ০৮:১৩ পিএম
‘কাউয়া-মুরগি’র বিশ্লেষণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর ডিপিএস!

ঢাকা: এবার ‘কাউয়া’ ও ‘হাইব্রিড মুরগি’র স্বভাব বিশ্লেষণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উপসচিব আশরাফুল আলম খোকন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে আলোচিত শব্দ হচ্ছে ‘কাউয়া’ ও ‘‘হাইব্রিড মুরগি’। এসব দিয়ে আসলে কোন ধরনের স্বভাব চরিত্রের মানুষদের বুঝানো হচ্ছে? নিজের ফেসবুক পেজে তারই একটি বিশ্লেষণ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

নিচে স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‌‘কাউয়া এবং হাইব্রিড মুরগি- বাংলাদেশের রাজনীতি, মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে গত কিছুদিন ধরে এইসব বেশ আলোচিত শব্দ। কেউ এইসব নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছেন, কেউবা এর মর্মার্থ খোঁজার চেষ্টা করছেন। আসেন আগে এই কাউয়া এবং হাইব্রিড মুরগির স্বভাব চরিত্র বিশ্লেষণ করি। কাক হচ্ছে সামনে যা পায় তাই খায়। আওয়ামী লীগ ৮ বছরের উপর ক্ষমতায়। সুতরাং এই স্বভাবের মানুষের বিচরণ বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

হাইব্রিড মুরগি- যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বড় হয় না। খুব অল্প সময়ে এটাকে মোটা তাজা বানানো হয় ব্যবসা করার জন্য। ৮ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে রাজনীতিতেও এইরকম লোক বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক না। অথচ রাজনীতিবিদ হতে হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হয়। কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসে অধিকিন্তু রাজনীতিকে কুলষিত করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই দুটি শব্দ দিয়ে দলের কর্মীদেরকে এই সবই বুঝানোর চেষ্টাই করেছেন যে, এই ধরণের লোকজনের কাছ থেকে নেতাকর্মীদেরকে দূরে থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। এখন বলতে পারেন, উনি অন্য শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন। বুঝতে হবে মিডিয়ার ভাষা আর তৃণমূলের ভাষা এক না। তৃণমূলের শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, অশিক্ষিতদের সঙ্গে যত সহজ শব্দে যোগযোগ স্থাপন করানো যায়, বুঝানো যায় জনাব ওবায়দুল কাদের তাই করেছেন।

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, উনিতো দলের সাধারণ সম্পাদক, দলকে এই প্রজাতির মানুষ থেকে দূরে রাখলেই পারেন। হ্যাঁ তিনি তাই করেছেন, দলকে দূরে রাখার জন্যই কর্মীদের সতর্ক করেছেন, যাতে তৃণমূলে এদেরকে প্রশ্রয় দেয়া না হয় এবং তিনি আত্মসমালোচনাও করেছেন। আর আত্মসমালোচনা ভালো মানুষেরাই করে।

হাসি ঠাট্টা না করে আপনি আমি যেটা আশা করতে পারি, তাহলো শুধু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নয়, মন্ত্রী, এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এইসব থেকে আরও বেশি সতর্ক থাকবেন। কারণ কাউয়া এবং হাইব্রিড মুরগিদের বিচরণ ওনাদের ওখানেই। আওয়ামী লীগের তৃণমূল অনেক অনেক বেশি খাঁটি এবং দৃঢ়।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!