কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে ৬ মুরব্বির ওপর নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা : রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষে সংঘর্ষ নিয়ে ছয় মুরব্বির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার (২৮ এপ্রিল) পুলিশের সঙ্গে দুই বিবদমান গ্রুপের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তাবলিগ জামাত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত মতো কাল সোমবার পর্যন্ত তাবলিগ জামাত সদস্য ওয়াসিফুল ইসলাম ও শূরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের কাকরাইল মসজিদের বাইরে অবস্থান করবেন।

অপরদিকে দুই পক্ষের দুইজন করে চারজনকে সাময়িকভাবে কাকরাইলে যাওয়া-আসা নিষিদ্ধ করা হয়। এরা হচ্ছেন আবদুল্লাহ মনছুর, ড. এরতেজা হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ ও ড. আজগর।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘মসজিদের পরিবেশ রক্ষায় ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে কাকরাইল মসজিদ থেকে বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। বাইরে থেকে কেউ এসে মসজিদে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে নামাজ আদায় করা যাবে।

মুসল্লিরা জানান, ভারত-পাকিস্তানপন্থি নেতৃত্ব নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তেজনা ছিল কাকরাইল জামে মসজিদের ভেতরে। শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বয়ানের সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর চড়াও হয়। হাতাহাতিও হয় কয়েক দফা। পরে পুলিশ এসে মসজিদের ভেতর থেকে মুসল্লিদের বের করে দেয়।

২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের সদস্য মাওলানা জুবায়ের এবং শূরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। জুবায়ের পাকিস্তান গিয়ে একটি জামাতে অংশ নিয়ে আহমেদ লাকশাহর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জুবায়েরের কাছে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সদস্যদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশে এসে তিনি সে বার্তা জানাননি। শূরা সদস্যরা অন্য মাধ্যমে বার্তার বিষয়টি জানতে পারেন।

গতকাল সকালে শূরা সদস্যদের বৈঠকের সময় বিষয়টি উঠে আসে এবং তখনই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই