• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাছের মানুষদের চোখে উসাইন বোল্ট


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৬, ০২:৩৭ পিএম
কাছের মানুষদের চোখে উসাইন বোল্ট

জামাইকায় জন্মগ্রহণকারী বিশ্বখ্যাত দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট। যিনি পাঁচবার বিশ্বরেকর্ড গড়ার পাশাপাশি তিনবার অলিম্পিক স্বর্ণপদক লাভ করেন। ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে বোল্ট পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব হিসেবে পরিচিত। তিনি ১০০ মিটার দৌড় ৯.৫৮ সেকেণ্ডে এবং ২০০ মিটার দৌড় ১৯.১৯ সেকেণ্ডে শেষ করেন। বোল্ট নিজের করা বিশ্বরেকর্ডও ২০১০ সালে ভেঙ্গে ফেলেন। দৌড়াতে কখনও বেশি সময় নেননি এই দৌড়বিদ।

তবে উসাইন বোল্ট জীবনে দেরি করেছেন মাত্র একবার। যে সময়ে জন্ম নেওয়ার কথা ছিল অ্যাথলেটিকসের এই কিংবদন্তি তার ১০ দিন পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন।

তার মা জেনিফার বলছেন, উসাইনের বয়স যখন তিন সপ্তাহ তখন থেকেই তিনি টের পেতে শুরু করেছিলেন যে, বড় কিছু একটা করার জন্যই তার ছেলের জন্ম হয়েছে।

বাবা ওয়েলেস্‌লি বোল্ট জানাচ্ছেন, উসাইন হারতে চাইতেন না।

ছেলেবেলায় তিনি যখন জ্যামাইকার ট্রলনিতে পাড়ার মাঠে দৌঁড়াতেন তখন অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে গেলে তিনি কান্নাকাটি করতেন। জেনিফার বলেন, পাঁচ বছর বয়স থেকে উসাইন স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে রেস করতেন এবং প্রতিবারই জিততেন।

ভাই সাদিকি এবং বোন শেরিন বলছেন, ছোটবেলা থেকেই উসাইন ছিলেন খুবই হাসিখুশি এক ছেলে।

তবে উইলিয়াম নিব হাই স্কুলে পড়ার সময় উসাইন বোল্টের আকর্ষণ ছিল ক্রিকেটের প্রতি। সে সময় তিনি ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না।

তবে স্কুলের পিটি শিক্ষক লর্না থর্পই প্রথম উসাইনকে অ্যাথলেটিকসে আসার জন্য উপদেশ দেন। তিনি বলেন, আমি তাকে বলেছিলাম, ভাল করে ট্রেনিং শুরু করো। তোমার লম্বা পায়ের ভেতর সোনার খনি লুকনো আছে।

উসাইন বোল্টের জীবনের ওপর এই শিক্ষকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। উসাইন সেটি অস্বীকারও করেন না। বোল্ট বলেন, তিনি ছিলেন মায়ের মতো। স্কুলে পড়ার সময় তিনি সব সময় আমার খোঁজখবর রাখতেন। স্কুলের ভেতরে কি স্কুলের বাইরে। সব সময় চাইতেন আমি যেন আমার মনোযোগ ধরে রাখি। ফলে আমার জীবনে তার বড় ভূমিকা রয়েছে।

উসাইন বোল্টের জীবনে প্রথমবারের মতো খ্যাতি আসে যখন তার বয়স মাত্র ১৫। ২০০২ সালে জ্যামাইকাতে বিশ্ব জুনিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে এই কিশোর স্বর্ণপদক জয় করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সে সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই ছিল তার চেয়ে অন্তত চার বছর বড়।

সেই ইভেন্টের পর থেকে উসাইন বোল্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!