• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাঠের সাঁকো মরনফাঁদ!


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম মে ২২, ২০১৮, ০২:২৬ পিএম
কাঠের সাঁকো মরনফাঁদ!

কুড়িগ্রাম: জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাত্র দেড় কিলোমিটার দুরে চন্দ্রখানা ফুলসাগর আবাসন সংলগ্ন নীলকমল নদীর ওপর কাঠের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে র্দীঘদিন ধরে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। নষ্ট পাটাতন ও রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেতুটি বর্ষা মৌসুমের আগেই দ্রুত সংস্কার ও নতুন একটি সেতু নির্মণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি দিয়ে আবাসনের ১৮০টি পরিবারের লোকজনসহ উপজেলার মাঝিটারী, বালাটারী, কুমারটারী ও বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার কামালপুর, হাবিবপুর, লাখো মানুষ যাতায়ত করেন। খুব অল্প সময়ে এই সাঁকো দিয়ে উপজেলার স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ উৎপাদিত কৃষিপণ্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন কৃষকরা।

আবাসনের বাসিন্দা আজাহার আলী, শরিয়তউল্ল্যা ও শান্তি রানী জানান, এলাকাবাসীর কষ্ট দেখে চার বছর আগে উপজেলা পরিষদ এই কাঠের সাঁকো তৈরি করে দেয়। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুব খারাপ। সেতুটি পুরাতন হওয়ায় পাটাতন খুলে যাচ্ছে। এমনিতে সেতুর দুইপাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে সেতু পার হতে হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান জানান, আমরা প্রায় ১০ বছর ধরে বাশের সাঁকো ও ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে আসছি। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমার আকুল আবেদন যতদ্রুত সম্ভব এখানে একটি সেতু নির্মান করা হোক।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজির হোসেন জানান, গত চার বছর আগে আবাসনবাসীর কষ্ট দূর করার জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২ ফিট লম্বা এই কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে জীবনেরঝুঁকি নিয়ে লোকজন পারাপার করছে। তবে খুব দ্রুত সময়ে এই সেতুটির দুই পাশে রেলিং দিয়ে ভালোভাবে মেরামত করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, সাঁকোটির পাশে সর্তকীকরণ সাইন র্বোড টাঙানো হয়েছে। দ্রুত সেতুটির রেলিং ও নষ্ট পাটাতন গুলো খুলে নতুন ভাবে তৈরী করা হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!