• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাতারের জেলে বন্দী ১৮৭ বাংলাদেশি


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৩, ২০১৮, ১০:৩৪ পিএম
কাতারের জেলে বন্দী ১৮৭ বাংলাদেশি

ঢাকা: প্রবাসে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কাতারের জেলখানায় বন্দী রয়েছেন ১৮৭ জন বাংলাদেশি কয়েদি। তাদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী যেমন রয়েছেন, তেমনি ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিও আছেন।

কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মদ-গাঁজা বিক্রি, বহন, সেবন—এ-সম্পর্কিত অপরাধে আটকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। তালিকায় ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদে দণ্ডিত কয়েদি রয়েছেন ৯১ জন। এ ছাড়া ইয়াবা সম্পর্কিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আছেন আরও ১০ জন।

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, কাতারে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন বাংলাদেশি কয়েদি রয়েছেন। যৌন হয়রানির অপরাধে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি রয়েছেন সাতজন। সমানসংখ্যক কয়েদি রয়েছেন চেক জালিয়াতির অপরাধে। তাদের সাজার মেয়াদ এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত।

চুরি ও ছিনতাইয়ের অপরাধে এক বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা ১৮। ভিসা জালিয়াতির অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন দুজন। তাদের শাস্তির মেয়াদ এক বছর থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর। এ ছাড়া নেশাজাতীয় ওষুধ বহন বা সেবনের অপরাধে দণ্ডিত কয়েদি আছেন দুজন। এর বাইরে অন্যান্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৮।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সম্পর্কিত অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ায় এটিকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে।

এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও অপরাধে জড়িয়ে পড়া কাম্য নয়। বিশেষ করে বিদেশে জীবন-জীবিকার তাগিদে এসে আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া কেবল নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা নয়, বরং এতে দেশের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করার বিষয়টিও জড়িত।

কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সব সময় আইন মেনে সব ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটির সামাজিক কাজে জড়িত এমন একজন প্রবীণ প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, কাতারে এখন বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠনের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে। সাধারণ প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে এসব সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তবে এ ব্যাপারে দূতাবাস নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে এবং দূরবর্তী শ্রমিক ক্যাম্পগুলোতে প্রচারণা বা মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সর্বস্তরের প্রবাসীদের মধ্যে কাতারের আইন-কানুন সম্পর্কে জানানোর উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করেন অনেক প্রবাসী।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!