• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাদের সিদ্দিকীর আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১১, ২০১৭, ০৭:৩৬ পিএম
কাদের সিদ্দিকীর আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু

ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু  করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন  শুনানী করতেচেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আপিল বিভাগের পুর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সে হিসেবে বুধবার (১১ জানুয়ারি) শুনানী শুরু করা হয়। এর আগে হাইকোর্ট এ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে কাদের সিদ্দিকীর আনা আপিল আবেদন দুই সপ্তাহের জন্য (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেন।

এর আগে একই বছর ৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জারি করা রুল ও ‍রিট খারিজ করে রায় দেন। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আদালত। এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আপিল আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ওই আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত বিষয়ে মন্তব্য করে বক্তব্য দেন। পরে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। মন্ত্রিসভা থেকেও তাঁকে অপসারণ করা হয়। পরে ৩ সেপ্টেম্বর শুন্য আসন বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কাদের সিদ্দিকী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও বহাল রাখেন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে, কাদের সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকের ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ওই ঋণখেলাপি হওয়ায় তাদের দুই জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!