• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘কাদেরের বক্তব্য ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০৩:২৮ পিএম
‘কাদেরের বক্তব্য ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত’

ঢাকা: ‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের এই বক্তব্য ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত।’

শনিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

তিনি বলেন, কারাগার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়-দ্বায়িত্ব পুরোটাই সরকারকে বহন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে সোজা পথে তাকে মুক্তি দিয়ে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘হায়াত-মউত আল্লাহ’র হাতে, এখানে কারও হাত নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে সারাদেশ উৎকণ্ঠিত। গতকাল (২০ এপ্রিল) তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ আগে থেকে অনুমতি নিয়েও সাক্ষাৎ করতে পারেনি। এর আগে ১৮ এপ্রিল আমিসহ আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ সুস্পষ্টভাবে কোনো কারণ দেখানো হয়নি। জেলার ভেতর থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে মির্জা আব্বাসকে জানান যে, ‘আজ সম্ভব হচ্ছে না।’ প্রায় ১০ দিন যাবৎ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং দল দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পায়নি। এতে করে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণমানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। মিথ্যা সাজানো মামলায় তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাকে এবং তার দলকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। গণবিচ্ছিন্ন ও রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সরকারের ২০১৪ এর মতো একতরফা নির্বাচনের প্রহসনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলই মূল উদ্দেশ্য। আইনের বিধানকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দেশনেত্রীকে জামিন না দেয়া, কারাগারে তাকে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা- এটা অমানবিক।

তিনি বলেন, যে কারাগারে, যে কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে তা সংবিধান পরিপস্থী। সরকারি ডাক্তারদের সুপারিশকৃত অর্থোপেডিক বেড তাকে সরবরাহ না করা, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে তাঁর চিকিৎসা না করানো, দলের নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যদের তার সঙ্গে দেখা না করতে দেয়া অত্যন্ত হীনউদ্দেশ্যমূলক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের এ বিষয়ে মন্তব্য এবং কটুক্তি সকল শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। সরকার দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে এবং আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। এত ভয় কেন?

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!